ফেনীর সোনাগাজী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভোট দিয়ে সেই ব্যালটসহ ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচার করেন সোনাগাজী উপজেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ইয়াকুব আলী মিশুক। আজ বুধবার চরসাহাভিকারী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে দিয়েছিলেন তিনি।
এ ঘটনায় দায়িত্বপ্রাপ্ত জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সাঈদ মোহাম্মদ সাফায়াত বুথের সহকারী প্রিসাইডিং কর্মকর্তা ও পোলিং কর্মকর্তাদের থেকে লিখিত অভিযোগ নিয়ে ছাত্রলীগ নেতা ইয়াকুব আলীকে আটক করেন। কেন্দ্রের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রিসাইডিং কর্মকর্তা আহসানুল বারী ভূইয়া বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
ছবিতে দেখা যায়, তিনি জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও চেয়ারম্যান প্রার্থী জহির উদ্দিন মাহমুদ লিপটনকে দোয়াত–কলম প্রতীকে ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ও ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী সাখাওয়াতুল হক বিটুকে টিউবওয়েল প্রতীকে ভোট দেন।
ভোট প্রদানের ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে (ফেসবুক) প্রচার করে তিনি লিখেন ‘আলহামদুলিল্লাহ’।
এ বিষয়ে ইয়াকুব আলীর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘ভোট শুরু হয়েছে তাই এমনি দিয়েছি।’ ব্যালটে ভোট দিয়ে এভাবে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচার করা আইনসিদ্ধ কি না, এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ‘ছোট ভাই হিসেবে ভুল করেছি, মাফ করে দিয়েন।’
কেন্দ্রের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রিসাইডিং কর্মকর্তা আহসানুল বারী ভূইয়া বলেন, ‘কেন্দ্রের ভেতরে বুথের সামনে সিল মারা ব্যালটের ছবি তোলার বিষয়টি জানার পর উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তার নির্দেশে ওই ছাত্রলীগ নেতাকে পুলিশ হেফাজতে রাখা হয়। জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আসার পর তিনি লিখিত অভিযোগ নিয়ে ছাত্রলীগ নেতাকে নিয়ে যান।’
উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা পল্লবী চাকমা বলেন, ভোটকেন্দ্রের গোপন বুথে প্রকাশ্যে ভোট দেওয়ার ছবি তোলা বেআইনি। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও প্রিসাইডিং কর্মকর্তাদের বিশেষভাবে নজর দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। এরপরও ওই ব্যক্তি কীভাবে মোবাইল ব্যবহার করছেন তা বোধগম্য নয়।
রিটার্নিং কর্মকর্তা মোহাম্মদ নাজিম উদ্দীন বলেন, ‘কোন কেন্দ্রে ভোট দিয়েছে, খবর নিচ্ছি।’ ব্যালটের ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচার করা আইনসিদ্ধ কিনা জানতে চাইলে তিনি মন্তব্য করতে রাজি হননি।
দায়িত্বপ্রাপ্ত জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সাঈদ মোহাম্মদ সাফায়াত বলেন, বুথের ভেতরে সিল মারা ব্যালট পেপার (ছবি তুলে) সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রকাশ করায় একজন ভোটারকে আটক করা হয়।