কর্ণফুলী (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি
সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব খলিল আহমদ বলেছেন, সারা দেশে নানা ধরনের উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ড হচ্ছে। এসব উন্নয়ন মানুষের উপকারের জন্য। কর্ণফুলীতে প্রত্নতাত্ত্বিক খননে ঐতিহাসিক কিছু নিদর্শনের আভাস পাওয়া যাচ্ছে। কিছু কিছু স্থাপনা ইতিমধ্যে দৃশ্যমান হয়েছে। দক্ষ খনন দল তাদের কাজ চালিয়ে যাবে। এই এলাকায় যদি ঐতিহাসিক কোনো নিদর্শন পাওয়া যায়, তবে এই এলাকার আর্থসামাজিক উন্নয়নে ব্যাপক পরিবর্তন ঘটবে। এলাকার মানুষের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা হবে। স্থানীয় মানুষের ক্ষতি হয় এমন কোনো কাজ করা হবে না।’
আজ শুক্রবার সকালে চট্টগ্রামের কর্ণফুলী উপজেলার বড়উঠান ইউনিয়নে দেয়াঙ পাহাড়ে প্রত্নতাত্ত্বিক খনন ও অনুসন্ধান কাজ পরিদর্শন এসে এসব কথা বলেন সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব খলিল আহমদ।
এ সময় কর্ণফুলী উপজেলা চেয়ারম্যান ফারুক চৌধুরী, কর্ণফুলী উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. মামুনুর রশিদ, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) পিযুষ কুমার চৌধুরী, থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. দুলাল মাহমুদ, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক আনোয়ারুল ইসলাম, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ফোকলোর বিভাগ ড. রতন কুমার উপস্থিত ছিলেন।
গত ১৬ মে থেকে প্রত্নতাত্ত্বিক খনন ও অনুসন্ধান কাজ শুরু করে প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগীয় আঞ্চলিক পরিচালক কার্যালয়ের কর্মকর্তারা। প্রতিদিন সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত খনন ও বিকেল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত গবেষণা করা হয়।
কাজে নিয়োজিত শ্রমিকেরা জানান, মহাস্থানগড় থেকে ১০ জন অভিজ্ঞ শ্রমিক কাজ করছেন এখানে। কাজ শুরু হওয়ার পর চওড়া দেয়াল ও ভবনের মেঝের অস্তিত্ব পেয়েছেন। এগুলো প্রায় আড়াই হাজার বছর আগের বলেও জানান শ্রমিকেরা।
কর্ণফুলীতে প্রত্নতাত্ত্বিক খননকাজ পরিদর্শের পর সচিব খলিল আহমদ বড়উঠান মনোহর আলী খান জমিদার বাড়ির ধ্বংসাবশেষ, মরিয়ম আশ্রম উপাসনালয় এবং একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে নিহতদের গণকবর পরিদর্শনে যান।