হোম > সারা দেশ > চট্টগ্রাম

মানব পাচারকারীদের আস্তানায় র‍্যাবের অভিযান, ২৭ রোহিঙ্গা ও ৪ বাংলাদেশি উদ্ধার

কক্সবাজার প্রতিনিধি

কক্সবাজার মানবপাচারে জড়িত থাকার অভিযোগে গ্রেপ্তার ২ ব্যক্তি। ছবি: সংগৃহীত

কক্সবাজারের টেকনাফে পাহাড়ের একটি গোপন আস্তানা থেকে মালয়েশিয়ায় পাচারের জন্য জড়ো করা শিশুসহ ৩১ জনকে উদ্ধার এবং দুই দালালকে আটক করেছে র‍্যাব। গতকাল সোমবার রাত ১০টায় র‍্যাব-১৫ কক্সবাজার ব্যাটালিয়নের আইন ও গণমাধ্যম শাখার সিনিয়র সহকারী পরিচালক ও সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) দেবজিত পাল বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

র‍্যাব বলছে, টেকনাফে বেড়াতে গিয়ে অপহরণের শিকার এক যুবকের তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে র‍্যাব এই গোপন আস্তানার সন্ধান পায়। আটক ব্যক্তিরা হলেন উখিয়া উপজেলার পালংখালী ইউনিয়নের পানখালী এলাকার মৃত অছিউর রহমানের ছেলে মোহাম্মদ আনোয়ার (৪৪) এবং টেকনাফ উপজেলার সদর ইউনিয়নের উত্তর লম্বরী এলাকার মৃত মোহাম্মদ রফিকের ছেলে মোহাম্মদ আইয়ুব (৩৬)।

উদ্ধার হওয়াদের মধ্যে ২৬ জন রোহিঙ্গা ও ৫ জন বাংলাদেশি। তাদের মধ্যে ৫ জন পুরুষ, ৩ জন নারী ও শিশু ২৩ জন।

উদ্ধার হওয়া বাংলাদেশিরা হলো, মহেশখালী উপজেলার শাপলাপুর ইউনিয়নের কায়কোবাদ এলাকার আব্দুল কাদেরের ছেলে মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম (২৭) ও নজির আহমদের ছেলে মোহাম্মদ শহিদ (১৭), একই ইউনিয়নের সাদেকেরকাটা এলাকার মো. ফরিদের ছেলে মো. গিয়াস উদ্দিন (২২), চকরিয়া উপজেলার ডুলাহাজারা ইউনিয়নের মকশেট আজম এলাকার আবুল কালামের ছেলে আতিকুর রহমান (২২) এবং টেকনাফের বাহারছড়া ইউনিয়নের শামলাপুর এলাকার এক নারী।

ভুক্তভোগীদের বরাতে এএসপি দেবজিত পাল বলেন, গত ১২ নভেম্বর উখিয়া উপজেলার মোছাখোলা এলাকার এখলাছ মিয়া ও তাঁর এক চাচাতো ভাইসহ দি-তিনজন বন্ধু মিলে টেকনাফে বেড়াতে যান। সেখানে বাহারছড়া ইউনিয়নের কচ্ছপিয়া এলাকার মেরিন ড্রাইভে ঘুরতে বের হন। বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে মেরিন ড্রাইভে ছবি তোলার সময় ৬-৭ জন অজ্ঞাত ব্যক্তি অস্ত্রের মুখে তাদের জিম্মি করে চোখ বেঁধে ফেলে। এ অবস্থায় তাদের স্থানীয় একটি পাহাড়ের ভেতরে নিয়ে যায়। সেখানে ছোট একটি খুপরিঘরে আগে থেকে ৪০-৪৫ জন নারী, পুরুষ ও শিশু অবস্থান করতে দেখতে পান জিম্মি হওয়া যুবকেরা।

ভুক্তভোগী এখলাছ মিয়ার বরাতে দেবজিত পাল বলেন, মানব পাচারকারীরা তাঁকে মারধর করে নির্যাতন চালিয়ে ২ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। একপর্যায়ে পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করেও মুক্তিপণের টাকা না পাওয়ায় মানব পাচারকারীরা ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে। পরে তাঁকেসহ ১৫ থেকে ২০ জনকে মালয়েশিয়ায় পাচারের জন্য পাহাড়চূড়ার ঘর থেকে সাগরপাড়ের ট্রলারের কাছে নিয়ে যায়। এ সময় সে কৌশলে পালিয়ে গিয়ে বিষয়টি র‍্যাবকে জানায়।

এ তথ্যের ভিত্তিতে রোববার মধ্যরাতে বাহারছড়া ইউনিয়নের কচ্ছপিয়া এলাকার পাহাড়ে র‍্যাবের একটি দল অভিযান চালায়। এতে সন্দেহজনক পাঁচ-ছয়জন দৌড়ে পালানোর সময় দুজনকে আটক করতে সক্ষম হলেও অন্যরা পালিয়ে যায়। পরে ঘটনাস্থল থেকে মালয়েশিয়ায় পাচারের জন্য জড়ো করা ৩১ জনকে উদ্ধার করা হয়।

উদ্ধার হওয়াদের বরাতে এএসপি দেবজিত পাল জানান, সাগরপথে মালয়েশিয়ায় নেওয়ার কথা বলে দালালেরা তাদের পাহাড়চূড়ায় জিম্মি করে রাখে। পরে স্বজনদের কাছ থেকে জনপ্রতি ১ লাখ টাকা করে মুক্তিপণ আদায় করে। যারা মুক্তিপণ দিতে ব্যর্থ হয়েছে, তাদের মালয়েশিয়ায় পাচারের নামে অন্য কোথাও জিম্মি রাখতে ট্রলারযোগে নিয়ে যাচ্ছিল।

আটক দালালদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট আইনে টেকনাফ থানায় মামলা করা হয়েছে বলে জানান তিনি।

আমরা যথেষ্ট ভাগ্যবান, কারণ আমাদের সমুদ্র আছে: প্রধান উপদেষ্টা

চকরিয়ায় পুলিশের গাড়ি খাদে পড়ে কনস্টেবল নিহত, এসআইসহ আহত ৪

দোল পূর্ণিমা মেলা ঘিরে চন্দ্রনাথধাম মন্দিরে লাখো পুণ্যার্থীর ঢল

চট্টগ্রামে ছাদ থেকে পড়ে শিশুর মৃত্যু

চাঁদপুরে গ্যাস বিস্ফোরণে দগ্ধ গৃহবধূর মৃত্যু, পাঁচজন হাসপাতালে

কুমিল্লায় ৩ কোটি টাকার ভারতীয় আতশবাজি জব্দ

নোয়াখালীতে অটোরিকশায় কলেজছাত্রীকে হেনস্তা-ছিনতাই, গ্রেপ্তার ২

পরিবারের সবাইকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে লুট

দক্ষিণ আফ্রিকায় সন্ত্রাসীদের গুলিতে বাংলাদেশি ব্যবসায়ী নিহত

পাম্প বসিয়ে কৃষকের পানি নিয়ে যাচ্ছে হালদা ভ্যালি