নোয়াখালীর হাতিয়ায় অগ্নিকাণ্ডে সাতটি দোকান পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। এতে ১ কোটি টাকার ক্ষতির আশঙ্কা করছেন ব্যবসায়ীরা। আজ শুক্রবার ভোররাতে উপজেলার চরকিং ইউনিয়নের খাসবাজারে অগ্নিকাণ্ডের এই ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, আজ শুক্রবার ভোররাতে ফজরের নামাজ আদায় করতে গেলে মুসল্লিরা বাজারে আগুনের দৃশ্য দেখতে পান। পরে তাঁদের চিৎকারে এলাকাবাসী এসে আগুন নেভানোর চেষ্টা করেন। সংবাদ পেয়ে হাতিয়া ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা এসে তিন ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, একটি চায়ের দোকানের কয়েলের আগুন থেকে অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত হয়েছে।
এ বিষয়ে খাসেরহাট বাজার ব্যবসায়ী কমিটির সভাপতি মাওলানা ছায়েদল হক বলেন, ‘অগ্নিকাণ্ডে সাতটি দোকান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এর মধ্যে একটি মুদিদোকান, একটি কসমেটিকসের দোকান, একটি চায়ের দোকান, দুটি হার্ডওয়্যারের দোকান, একটি টিনের দোকান ও পানের দোকান ছিল। এসব দোকানের কোনো মালামাল রক্ষা করা যায়নি। সব মালামাল দোকানের মধ্যেই পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। তবে দোকানের লোকজন দোকান থেকে বের হয়ে যাওয়ায় প্রাণহানির কোনো ঘটনা ঘটেনি। সব মিলে কোটি টাকার বেশি ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা করছি।’
অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত টিনের দোকানের মালিক মো. ইউছুফ (৫০) জানান, তাঁর দোকানে ৫০ লাখ টাকার মালামাল ছিল। সামনে টিন বেচাকেনার মৌসুম হওয়ায় দোকানভর্তি টিন ছিল। এখন সব টিন পুড়ে গেছে। আগুন লাগার পর তা চারদিকে ছড়িয়ে পড়ায় দোকানের মালামাল বের করে আনা সম্ভব হয়নি। নতুন টিনগুলো ঘরের মধ্যে পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। আমরা সরকারের সহযোগিতা কামনা করছি।’
এ বিষয়ে হাতিয়া ফায়ার সার্ভিস ইউনিটের ইনচার্জ হারুনুর রশিদ জানান, অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত কোথা থেকে হয়েছে তা এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি। আগুন লাগার পর কয়েকটি দোকানে থাকা গ্যাসের সিলিন্ডার বিস্ফোরিত হয়ে চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে। দীর্ঘ সময় চেষ্টা করে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হয়।