নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম
চট্টগ্রামে হেফাজতে রেখে নির্যাতনের অভিযোগে পাঁচলাইশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ও উপপরিদর্শকের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করা হয়েছে। আজ সোমবার মহানগর দায়রা জজ ড. বেগম জেবুন্নেছার আদালতে মামলাটি করেন চমেক হাসপাতালে ডায়ালাইসিস ফি বাড়ানোর প্রতিবাদ করতে গিয়ে গ্রেপ্তার সৈয়দ মো. মোস্তাকিম। আদালত তা আমলে নিয়ে সিআইডিকে মামলাটি তদন্তের নির্দেশ দেন।
মামলায় বিবাদীরা হলেন–পাঁচলাইশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ নাজিম উদ্দিন মজুমদার ও একই থানার উপপরিদর্শক মো. আবদুল আজিজ।
বাদীপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট জিয়া হাবীব আহসান বিষয়টি নিশ্চিত করে আজকের পত্রিকাকে বলেন, আজ বিকেলে আদালত এক আদেশে সিআইডিকে মামলাটি তদন্ত করে আগামী ২৭ মার্চ প্রতিবেদন জমা দিতে বলেছেন।
তিনি আরও বলেন, ‘বিবাদীদের বিরুদ্ধে নির্যাতন ও হেফাজতে মৃত্যু (নিবারণ) আইন ২০১৩ এর ১৩ (১), ২ এর ক, খ ও গ এবং ১৫ (১) ধারা এবং সংশ্লিষ্ট আইনের ৫ (১) ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে।
একই আইনে ১১ ধারায় বাদীর জানমালের নিরাপত্তা চেয়ে একটি পিটিশন দাখিল করা হয়েছে। বাদীকে ক্রসফায়ারের হুমকি দেওয়া হয়েছিল। এ সময় আদালত বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করেন।’
মামলা সূত্রে জানা গেছে, সৈয়দ মোস্তাকিম তাঁর মাকে গত সাত বছর ধরে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে কিডনি ডায়ালাইসিস করান। সম্প্রতি ডায়ালাইসিসের মূল্য বেড়ে যাওয়ায় তিনিসহ রোগীর স্বজনরা মিলে আন্দোলন করেন। গত ১০ জানুয়ারি তাঁরা চমেক হাসপাতালের প্রধান গেটে জড়ো হয়ে মানববন্ধন করেন।
এ সময় পাঁচলাইশ থানার ওসি নাজিম উদ্দিনের নেতৃত্বে একদল পুলিশ পরে সেখানে এসে আন্দোলনকারীদের ওপর চড়াও হন। একপর্যায়ে ওসি নাজিম মোস্তাকিমকে গ্রেপ্তার করে প্রথমে একটি বেসরকারি ডায়াগনস্টিক সেন্টারের নিচে মারধর করেন। পরে থানায় তাঁকে মারধর ও নির্যাতনের অভিযোগ করা হয়। এ সময় উপপরিদর্শক আবদুল আজিজ বাদীকে ক্রসফায়ারের হুমকি দেন বলে উল্লেখ করা হয়।
উল্লেখ্য, গত ১০ ডিসেম্বর আন্দোলন চলাকালে পুলিশের ওপর হামলার অভিযোগ এনে মোস্তাকিমের নাম উল্লেখ করে ও অজ্ঞাতনামা ৫০ / ৬০ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে পাঁচলাইশ থানা-পুলিশ।