কুবি প্রতিনিধি
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) নৃবিজ্ঞান বিভাগের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ও ছাত্রলীগ কর্মী রাকেশ দাস এবং অর্থনীতি বিভাগের একই শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ও ছাত্রলীগ কর্মী এস কে মাসুমকে পুলিশে সোপর্দ করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
আজ বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন মামা হোটেলের সামনে থেকে রাকেশকে এবং বিকেল ৪টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের উত্তর মোড়ের পাকিস্তান মসজিদের সামনে থেকে মাসুমকে কোটবাড়ী পুলিশ ফাঁড়ির কাছে তুলে দেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
বিষয়টি আজকের পত্রিকাকে নিশ্চিত করেন কোটবাড়ি পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ আরিফ। তিনি বলেন, শিক্ষার্থীরা মামলার আসামি হিসেবে আমাদের কাছে দুজনকে সোপর্দ করেছে। আমরা ডিবি অফিসে হস্তান্তর করব, তারা সম্ভবত অ্যারেস্ট হিসেবে গ্রহণ করবে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের গণিত বিভাগের ২০১৭-১৮ সেশনের শিক্ষার্থী মো. হান্নান রহিম বলেন, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে জুলাই বিপ্লবের বিরুদ্ধে যারা অবস্থান নিয়েছিল, সাধারণ ছাত্রদের নির্যাতনের সঙ্গে জড়িত ছিল এবং স্বৈরাচারের দোসর হিসেবে কাজ করেছে, তাঁদের বিরুদ্ধে আমরা সোচ্চার অবস্থান নিয়েছি। এরই পরিপ্রেক্ষিতে আমরা রাকেশ দাসকে পুলিশে সোপর্দ করেছি। এ ছাড়া যারা ছাত্রলীগের দোসর হিসেবে কাজ করেছে তাঁদের বিরুদ্ধে আমরা অবস্থান নিচ্ছি। অতি দ্রুত আমরা তাঁদের মামলার পরিপ্রেক্ষিতে পুলিশে সোপর্দ করব। এমনকি শিক্ষক, কর্মচারী যারাই স্বৈরাচারের দোসর হিসেবে কাজ করেছে সক্রিয়ভাবে তাঁদের বিরুদ্ধেও আমরা সোচ্চার। তাঁদেরকেও আমরা মামলার পরিপ্রেক্ষিতে পুলিশের কাছে সোপর্দ করব।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কুমিল্লা জেলার মুখ্য সংগঠক আরাফ ভুঁইয়া বলেন, গত ১৫ জুলাই ও ২৯ জুলাই শিক্ষার্থীদের ওপর যে হামলা হয়েছে সে ঘটনার মামলা এটি। আরও বিস্তারিত বললে, সাবেক ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক রেজা-ই-ইলাহী বিগত দিনে শিক্ষার্থীদের ওপর যে ধরনের নির্যাতন ও অত্যাচার করেছে তাঁর সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত ছিল এই শিক্ষার্থীরা। এ ছাড়া যারা আছে এখনো তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা চলমান থাকবে।
এ বিষয়ে কুমিল্লা জেলা গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাজ্জাদ করিম খান বলেন, আমরা দুই শিক্ষার্থীকে পূর্বের একটি মামলার আসামি হিসেবে গ্রেপ্তার করেছি। তাঁদের শিগগিরই আদালতে তোলা হবে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক মো. আব্দুল হাকিম বলেন, রাকেশ দাসের বিষয়টা তাঁর বিভাগের চেয়ারম্যান আমাকে জানিয়েছেন। আমি পুলিশকে ফোন করার পর পুলিশ বলেছে, তিনি নিয়মিত মামলার আসামি, তাঁকে ক্যাম্পাসের বাইরে থেকে ধরে নিয়ে এসেছি। আর মাসুমকে পুলিশে সোপর্দের বিষয় আমরা এখনো অবগত নই।