হোম > সারা দেশ > চট্টগ্রাম

পরশুরামে ধানখেতে বানরের পাল, দিশেহারা কৃষকেরা

পরশুরাম (ফেনী) প্রতিনিধি 

পরশুরামে মাচায় বসে ধান খেত পাহারা দিচ্ছেন এক কৃষক। ছবি: আজকের পত্রিকা

খাবারের খোঁজে ভারত থেকে বানরের পাল বাংলাদেশ সীমান্ত এলাকায় এসে নষ্ট করছে পাকা ধান। এতে চরম বিপাকে পড়েছে সীমান্তের কয়েক শ কৃষক। ফসল নষ্টের শঙ্কায় রয়েছেন তাঁরা।

কৃষকেরা বানরের উপদ্রব থেকে বাঁচতে ধানখেতের পাশে কুকুর বেঁধে রেখেছেন। এ ছাড়াও খেত অসংখ্য টং (মাচা) ঘর নির্মাণ করে দিন-রাত লাঠি নিয়ে পাহারা দিচ্ছেন। কয়েক সপ্তাহ ধরেই এমন চিত্র দেখা গেছে ফেনীর পরশুরাম উপজেলার মির্জানগর ও বক্সমাহমুদ এলাকার ভারত সীমান্তবর্তী কয়েকটি গ্রামে।

স্থানীয় কৃষক ও উপজেলা কৃষি কার্যালয় জানায়, পরশুরামের আমনের খেতের পাকা ধানে বিপজ্জনক হারে বেড়েছে ভারত থেকে আসা বানরের উপদ্রব। জঙ্গলে খাদ্যের সংকট দেখা দেওয়ায় উপজেলার মির্জানগর ইউনিয়নের জয়চাঁদপুর গ্রাম, বাগমারা, আনিচার আগা, মহেষপুস্করনী, বীরচন্দ্রনগরসহ বিভিন্ন এলাকায় শত শত একর জমির আমন ধানে বানর আক্রমণ করছে। ওই সব এলাকার বেশির ভাগ জমির ধান পাক ধরেছে। আগামী সপ্তাহের দিকে বেশির ভাগ পাকা ধান কেটে ঘরে তোলা যাবে।

কিন্তু এমন সময় প্রতিদিন শত শত বানরের পাল ফসলি জমিতে নেমে মুহূর্তের মধ্যে কিছু ধান খেয়ে বাকি ধান নষ্ট করে দিচ্ছে। এসব এলাকার কৃষকেরা বানরের পালের উপদ্রবে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন।

স্থানীয় কৃষক মোবারক হোসেন বলেন, বানরের পাল এরই মধ্যে কয়েক হেক্টর জমির ধানের শিষ কেটে ফেলেছে। কৃষক আবদুল খালেক বলেন, আগামী কয়েক দিনের মধ্যেই পাকা ধান তুলবেন কৃষকেরা। এর আগেই বানরের উপদ্রব দেখা দিয়েছে। আর তাই বানর থেকে ধান রক্ষায় দিনরাত লাঠি নিয়ে খেত পাহারা দিচ্ছেন তাঁরা।

জয়চাঁদপুর এলাকার কৃষক মো. ইউনুছ ও আলী হোসেন বলেন, বানরের পাল একসঙ্গে ধানখেতে নামে। পাকা ধান ও ধানগাছের শিষ খেয়ে ব্যাপক ক্ষতি করছে। বানরের আক্রমণ থেকে রক্ষা পেতে সারা দিন লাঠি হাতে ধানখেত পাহারা দিতে হচ্ছে।

কৃষকেরা আরও জানান, কয়েক বছর ধরে এলাকায় বানরের উপদ্রব বেড়ে গেছে। খাদ্যসংকটের কারণে বানরের দল খেতের সবজি ও ধান খেয়ে ফেলছে। বোরো আমন দুই মৌসুমেই ধানখেতে বানরের আক্রমণ হচ্ছে। বাগমারা এলাকা গিয়ে দেখা যায়, কৃষক মীর হোসেন বনের পাশে মাচা তৈরি করে লাঠি হাতে খেত পাহারা দিচ্ছেন। এ ছাড়া পৃথক পৃথক স্থানে কুকুর বেঁধে রেখেছেন অনেকে।

পরশুরাম উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছরে আমনা চাষাবাদের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল ৫ হাজার ৮৬০ হেক্টর। কিন্তু চাষাবাদ হয়েছে ৫ হাজার ৯৫ হেক্টর জমিতে।

পরশুরাম উপজেলা কৃষি কার্যালয়ের উপসহকারী কৃষি কর্তা দেবঞ্জন বণিক বলেন, মির্জানগর ও বক্সমাহমুদ ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী এলাকাগুলোতে বানরের উপদ্রব বেড়ে গেছে। কৃষকদের পাহারা দিয়ে পাকা ধান রক্ষা করতে হবে, এ ছাড়া আর কোনো বিকল্প নেই।

চট্টগ্রামে পাহাড়ের জমি থেকে দখলদার উচ্ছেদ

জলাবদ্ধতা নিরসন প্রকল্প পরিদর্শনে তিন উপদেষ্টা

৩৪ মাস ধরে পরিত্যক্ত ভবনে ইউএনও, রাজস্ব ফাঁকির অভিযোগ

টেকনাফের পাহাড়ে আবারও বন্য হাতির মৃত্যু

দুর্নীতিবাজ-খুনিদের সংসদ ও রাজনীতিতে অন্তর্ভুক্ত না করার সুপারিশ করা হয়েছে: বদিউল আলম

মাদক কারবারে জড়িত পুলিশের এএসআইসহ ২ জন গ্রেপ্তার

নাফ নদ থেকে পণ্যবাহী ৩ জাহাজ নিয়ে গেছে আরাকান আর্মি

মেয়র হতে পারায় প্রয়াত উপদেষ্টা হাসান আরিফের প্রতি কৃতজ্ঞ ডা. শাহাদাত

বান্দরবানে ট্রাকচাপায় ৩ মোটরসাইকেল আরোহী নিহত

চকরিয়ায় গৃহবধূ হত্যার ঘটনায় ৫ জনের নামে মামলা, স্বামী গ্রেপ্তার

সেকশন