রামগড় (খাগড়াছড়ি) প্রতিনিধি
ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা আর নানারকম আয়োজনের মধ্য দিয়ে খাগড়াছড়ির গুইমারা রিজিয়নে পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তিচুক্তির রজতজয়ন্তী (২৫ বছর) উদ্যাপিত হয়েছে। আজ শুক্রবার সকাল সাড়ে ৯টায় এক বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা জালিয়াপাড়া বাজার থেকে শুরু করে গুইমারা মডেল উচ্চবিদ্যালয় মাঠ প্রাঙ্গণে গিয়ে শেষ হয়।
গুইমারা রিজিয়নের আওতাধীন বিভিন্ন উপজেলার নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি, শিক্ষক-শিক্ষার্থী, ধর্মীয় নেতা, ব্যবসায়ী ও স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন। শোভাযাত্রা শেষে ওই বিদ্যালয়ের মাঠে এক আলোচনা সভা হয়। এতে প্রধান অতিথির বক্তৃতা দেন গুইমারা রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. কামাল মামুন। আরও বক্তব্য দেন সিন্দুকছড়ি জোন কমান্ডার লে. কর্নেল পারভেজ মোস্তফা, মাটিরাঙ্গা উপজেলা চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম, রামগড় পৌরসভার মেয়র রফিকুল আলম কামাল সহ পাহাড়ি-বাঙালি কয়েকজন শিক্ষার্থীরা।
সভায় গুইমারা রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. কামাল মামুন পার্বত্যাঞ্চলের উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ড এবং পার্বত্য চট্টগ্রামে শান্তি, সম্প্রীতি ও উন্নয়নের ধারা বজায় রাখতে নিরাপত্তা বাহিনীর অবদান বর্ণনা করেন।
আলোচনা সভা শেষে সম্প্রীতি মেলা উদ্বোধন করা হয়। এ সময় বিনা মূল্যে চিকিৎসা সেবাসহ দুস্থ মানুষদের মধ্যে ১৫০টি শীতবস্ত্র, ১০টি সোলার প্যানেল, ১০টি সেলাই মেশিন, ১১টি পরিবারকে গৃহনির্মাণের জন্য আর্থিক সহায়তা, ছয়টি বিভিন্ন ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে আর্থিক সহায়তা, ২৭ জনকে চিকিৎসার জন্য অনুদান এবং ২০টি দুস্থ পরিবারকে আর্থিক সহায়তাসহ সর্বমোট ২২৮টি পরিবারের মাঝে বিভিন্ন মানবিক সহায়তা দেওয়া হয়।
অন্যদিকে পার্বত্য শান্তিচুক্তির রজতজয়ন্তী উপলক্ষে রামগড় জোনের ব্যবস্থাপনায় রামগড় ওয়াপদা মোড় থেকে রামগড় পৌরসভা পর্যন্ত শান্তি ও সম্প্রীতির এক বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বের হয়। শোভাযাত্রায় নেতৃত্ব দেন বিজিবির-৪৩ অধিনায়ক লে. কর্নেল হাফিজুর রহমান।