বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়িতে ঘূর্ণিঝড় মোখায় ধানখেতসহ ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। ঝড়ের আঘাতে মিয়ানমার সীমান্তের নাইক্ষ্যংছড়ি সদর-চাকঢালা সড়কের কে জি স্কুল এলাকায় একটি গাছ ভেঙে পড়ায় আজ রোববার বেলা তিনটা থেকে ওই সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। বিকেল থেকে ঘূর্ণিঝড় মোখার প্রভাবে ঝোড়ো ও ধমকা হাওয়া চলাকালে উপজেলার পাঁচ ইউনিয়নে ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়।
নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রোমেন শর্মা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ঘূর্ণিঝড় মোখার কারণে ফসলের ক্ষতি হয়েছে। ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে সব ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ঘুমধুম, সদর, বাইশারী ও অন্য এলাকায় অস্থায়ীভাবে স্থাপিত আশ্রয়কেন্দ্রগুলোয় আসা লোকজনের বিষয়ে সার্বিক ব্যবস্থা নিয়েছেন তিনি। কয়েকটি আশ্রয়কেন্দ্রে তিনি নিজে সরেজমিন গিয়েছেন। ঘূর্ণিঝড়ের দিন উপজেলায় ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টির কারণে পাহাড় ধসের আশঙ্কায় মাইকিং করাসহ নানাভাবে সাধারণ মানুষকে সচেতন করা হয়েছে।
ইউএনও আরও বলেন, কৃষিপ্রধান এই উপজেলায় সবজি, কলা আর ধান—এই তিন ধরনের কৃষিপণ্যের ক্ষতির বেশি আশঙ্কা তাঁর।
স্থানীয় সূত্র জানায়, বাইশারী ক্যংগার বিল আশ্রয়কেন্দ্রসহ ইউপিতে পাঁচটি আশ্রয়কেন্দ্রে তিন শতাধিক লোক আশ্রয় নিয়েছেন।
বাইশারীর ইউপি চেয়ারম্যান মো. আলম বলেছেন, কেন্দ্রে শুকনো খাবার, পানি ও অন্য সহায়তা দেওয়া হয়েছে।
নাইক্ষ্যংছড়ি সদর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান নুরুল আবসার ইমন জানান, তাঁর ইউনিয়নে ৯টি আশ্রয়কেন্দ্র রয়েছে। প্রত্যকটিতে স্বেচ্ছাসেবী রয়েছে। উপজেলা প্রশাসনের নির্দেশ মতো সেখানে শুকনো খাবারসহ সব ধরনের সহায়তা দেওয়া হচ্ছে।
নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোহাম্মদ এনামুল হক বলেন, তাৎক্ষণিকভাবে ফসলের ক্ষতির বিষয়টি তিনি জানাতে পারছেন না। তবে খোঁজখবর নিয়ে পরে জানাবেন।
নাইক্ষ্যংছড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) টানটু সাহা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ঘূর্ণিঝড় মোখার কারণে কোনো দুর্ঘটনার খবর তাঁর কাছে নেই। তবে বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ থাকায় থানার স্বাভাবিক কাজকর্ম ব্যাহত হচ্ছে।
ঘূর্ণিঝড় মোখার প্রভাবে আজ সন্ধ্যা ৬টা নাগাদ ঝোড়ো হাওয়া ও গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হচ্ছিল। তবে উপজেলার কোথাও হতাহতের খোঁজ পাওয়া যায়নি।