কক্সবাজার প্রতিনিধি
কক্সবাজারের ঈদগাঁও উপজেলার পোকখালীতে মোহাম্মদ সাজ্জাদ (১৩) নামের এক কিশোরকে সুপারি গাছের সঙ্গে বেঁধে পিটিয়ে হত্যা করার অভিযোগে উঠেছে। আজ সোমবার ভোরে এ ঘটনায় প্রধান অভিযুক্ত মোহাম্মদ আলমকে (৩০) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
নিহত মো. সাজ্জাদ ঈদগাঁও উপজেলার ইসলামাবাদ ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের উত্তর সাত ঝুলাকাটা গ্রামের নুরুল হুদার ছেলে। এদিকে গ্রেপ্তার হওয়া যুবক মো. আলম পোকখালী ইউনিয়নের পূর্ব ইছাখালী এলাকার আব্দুস সালামের ছেলে।
সাজ্জাদের বাবা নুরুল হুদা জানান, তাঁর ছেলে সাজ্জাদ ও প্রধান আসামি মোহাম্মদ আলমের ভাই নুরুল আজিম কালু পরস্পর বন্ধু। গত ২৩ সেপ্টেম্বর বিকেলে দোকানে খেলতে গিয়ে তাদের মধ্যে বাগ্বিতণ্ডা হয়। এ ঘটনায় তাঁর ছেলেকে মারার জন্য তাঁরা খুঁজতে থাকলে ছেলের হয়ে তিনি নিজেই ক্ষমা চান। এরপরও গত ২৪ সেপ্টেম্বর বিকেলে সাজ্জাদকে একটি চা দোকানের সামনে থেকে ধরে নিয়ে পার্শ্ববর্তী পোকখালী ইউনিয়নের পূর্ব ইছাখালী গ্রামে নিয়ে যায়। সেখানে সুপারি গাছের সঙ্গে তাঁকে রশি দিয়ে বেঁধে মারধর করে। খবর পেয়ে স্থানীয়দের সহায়তায় সাজ্জাদকে উদ্ধার করে বাড়িতে এনে চিকিৎসা করা হয়। গত রোববার তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে ঈদগাঁও মেডিকেল নামের ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়। সেখানে সাজ্জাদের মৃত্যু হয়।
এ বিষয়ে ঈদগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত (ওসি) কর্মকর্তা মো. আবদুল হালিম জানান, গত শনিবার বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে মোহাম্মদ সাজ্জাদকে সুপারি গাছে রশি দিয়ে বেঁধে পিটিয়ে আহত করা হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় রোববার সন্ধ্যা ৭টার দিকে ঈদগাঁও মেডিকেলে তার মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় নিহতের বাবা চারজনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের করেছেন। তাদের মধ্যে একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।