পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান কৃষকদের উদ্দেশে বলেছেন, ‘আমাদের আহরণ করতে হবে। এই আহরণের জন্য আমাদের চাষ করতে হবে। আবাদের মূল্য কত আপনারা জানেন? কৃষিও আবাদ, নামাজও আবাদ, রোজাও আবাদ। মহান আল্লাহ তায়ালার সবচেয়ে বড় নেয়ামত জমিন। এই জমি একসময় বিদেশি দখলদারদের হাতে ছিল।’
আজ বুধবার কুমিল্লার দাউদকান্দি উপজেলার হাটখোলা বহুমুখী উচ্চবিদ্যালয় মাঠে কৃষি, মৎস্য, প্রাণিসম্পদ, বীজ প্রযুক্তি ও বৃক্ষমেলা উদ্বোধন উপলক্ষে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, ‘গায়ের জোরে ক্ষমতা দখল করা যায় না। বিরোধী দল যেভাবে কথা বলে, তা রাজনীতির ভাষা হতে পারে না। জাতির জনক বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কোভিড মোকাবিলার পর, বিশ্বে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের যে প্রভাব পড়েছে তাও সফলতার সঙ্গে মোকাবিলা করেছেন। গ্রামের মানুষের উন্নয়নের জন্য বিভিন্নমুখী পরিকল্পনা গ্রহণ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আমাদের প্রত্যেককে খাদ্য উৎপাদনে বলিষ্ঠ ভূমিকা রাখতে হবে। দেশের প্রতিটি জমি চাষ উপযোগী করে তুলতে হবে এবং এক ইঞ্চি জমিও অনাবাদি রাখা যাবে না।’
সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের উদ্দেশ করে মন্ত্রী বলেন, ‘কৃষকগণই আমাদের প্রাণ। তাদের যথাযথ সম্মান দিতে হবে। আমাদের বাপ-দাদা ১৪ পুরুষ তথা মানব জাতির আদিমতম পেশা কৃষি। এটি রিজিকের পেশা, খাদ্যের পেশা এবং এটাই হবে মানবের শেষ পেশা।’
এই অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সাবেক কৃষিসচিব আনোয়ার ফারুক কুহিনুর। অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বেনজীর আলম, বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক মো. শাহজাহান কবির, কুমিল্লার নবাগত পুলিশ সুপার (এসপি) আব্দুল মান্নান, দাউদকান্দি উপজেলা চেয়ারম্যান মেজর (অব.) মোহাম্মদ আলী সুমন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মহিনুল হাসান, কুমিল্লা উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বাসুদেব ঘোষ প্রমুখ।