নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম
চলন্ত আন্তনগর ট্রেনে তরুণীকে (১৯) ধর্ষণের ঘটনায় খাবার সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান এস এ করপোরেশনের কার্যক্রম স্থগিত করেছে রেল প্রশাসন। এ ঘটনায় জড়িত প্রতিষ্ঠানটির তিন কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আজ বুধবার সিলেট থেকে আসা চট্টগ্রামগামী উদয়ন এক্সপ্রেসে এই ঘটনা ঘটে।
এর আগে এ ঘটনায় ট্রেনের পরিচালক (গার্ড) আবদুর রহিমকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ।
রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের মহাব্যবস্থাপক (জিএম) নাজমুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘উদয়ন এক্সপ্রেস ট্রেনের খাবার সরবরাহে দায়িত্ব ছিল এস এ করপোরেশন। এই প্রতিষ্ঠানের কর্মী ধর্ষণে জড়িত থাকায় প্রতিষ্ঠানটির সেবা স্থগিত করা হয়েছে। প্রমাণিত হলে চুক্তিও বাতিল করা হবে।’
নাজমুল ইসলাম বলেন, ‘ধর্ষণের শিকার ওই নারী সাতজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছেন। এই ঘটনায় তৎক্ষণাৎভাবে তিনজনকে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে। বাকিদেরও গ্রেপ্তার করা হবে।’
রেল পুলিশ জানায়, বুধবার ওই তরুণী উদয়ন এক্সপ্রেসে করে চট্টগ্রামে আসছিলেন। তিনি ভৈরব থেকে উঠে খাবার বগিতে অবস্থান করেন। ভোর ৪টার দিকে ট্রেনটি লাকসাম এলাকা পার হওয়ার সময় খাবার সরবরাহকারী কয়েকজন তরুণীকে উত্ত্যক্ত করে এবং ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ করেন তিনি। তরুণী আত্মীয়দের সঙ্গে ভৈরবে থাকেন। তাঁর বাড়ি বান্দরবানে। তিনি বাড়ি যাওয়ার জন্যই চট্টগ্রামে আসছিলেন।
চট্টগ্রাম রেলওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম শহীদুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘উদয়ন এক্সপ্রেসের খাবারের বগিতে এক তরুণীকে ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেপ্তার তিনজনকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘ওই তরুণী পুলিশের হেফাজতে আছে। তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান স্টেপ ক্রাইসিস সেন্টারে চিকিৎসা দেওয়া হবে।’
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এসএ করপোরেশন মালিক শাহ আলম নামে এক ঠিকাদার। প্রতিষ্ঠানটি উদয়ন এক্সপ্রেস ছাড়াও সুবর্ণ ও তূর্ণা এক্সপ্রেস ট্রেনেও খাবার সরবরাহ করে থাকে। এই বিষয়ে কথা বলতে শাহ আলমের মোবাইল ফোনে কয়েকবার কল করে সাড়া পাওয়া যায়নি।