আখাউড়া (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি
নির্বাচনী আচরণবিধি ভঙ্গের দায়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া আখাউড়া পৌরসভার মেয়র তাকজিল খলিফা কাজল ও উপজেলার মোগড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল মতিনকে শোকজ করা হয়েছে। একই সঙ্গে তাঁদের দুজনকে আগামী ৮ মে নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটির কাছে সশরীরে উপস্থিত হয়ে লিখিত জবাব দিতে বলা হয়েছে।
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) ও উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের রিটার্নিং অফিসার মো. সাইফুল ইসলাম গতকাল মঙ্গলবার কারণ দর্শানোর এই নোটিশ জারি করেন।
রিটার্নিং অফিসার স্বাক্ষরিত চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, আখাউড়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী মুরাদ হোসেন ভূঁইয়ার সমর্থনে আনারস প্রতীকের পক্ষ নিয়ে সোমবার বিকেলে মোগড়া ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে চেয়ারম্যান আব্দুল মতিন আচরণবিধি ভঙ্গ করে নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণার বৈঠক করেন। ওই বৈঠকে প্রতিদ্বন্দ্বী ঘোড়া প্রতীকের চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী মনির হোসেনকে ‘কুলাঙ্গার’ বলে আখ্যায়িত করেছেন পৌরসভার মেয়র তাকজিল খলিফা কাজল। এরই পরিপ্রেক্ষিতে তাঁদের দুজনকেই কারণ দর্শাতে বলা হয়।
রিটার্নিং অফিসার স্বাক্ষরিত ওই চিঠিতে আরও উল্লেখ করা হয়, সোশ্যাল মিডিয়া ও মিডিয়া সেল ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে প্রাপ্ত তথ্যমতে আখাউড়া পৌরসভার মেয়র তাকজিল খলিফা কাজল ও মোগড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল মতিন নির্বাচনী বিধিনিষেধ উপেক্ষা করেছেন। এটি উপজেলা পরিষদ নির্বাচন, ২০১৬ বিধিমালার ৬ ও ১৮ পরিপন্থী। মঙ্গলবার স্বাক্ষরিত ওই চিঠিতে পৌরসভার মেয়র তাকজিল খলিফা কাজল ও মোগড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল মতিনকে সশরীরে হাজির হয়ে বিধি লঙ্ঘনের বিষয়ে তাঁদের বিরুদ্ধে কেন ব্যবস্থা নেওয়া হবে না, সে বিষয়ে উপস্থিত হয়ে লিখিত জবাব দিতে বলা হয়েছে।
এ বিষয়ে উপজেলা চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী মনির হোসেন বলেন, ‘আমি ১৮ বছর উপজেলা যুবলীগের সভাপতি ছিলাম। বর্তমানে উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সম্পাদক। আমি তিনবার ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ছিলাম। আওয়ামী লীগের সভানেত্রী বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা নির্বাচন উন্মুক্ত এবং অবাধ ও সুষ্ঠু করার ঘোষণা দেওয়ায় আমি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছি। মেয়রের এমন বক্তব্য দুঃখজনক, তিনি কীভাবে এমন বক্তব্য দিতে পারেন।’
উল্লেখ্য, ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে দ্বিতীয় ধাপে আগামী ২১ মে আখাউড়া উপজেলা পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এই নির্বাচনে আখাউড়া উপজেলায় কাগজে-কলমে তিনজন প্রার্থী থাকলেও শেখ বোরহান উদ্দিন সরে দাঁড়ানোয় দুই প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর মধ্যে লড়াই হবে।
তাঁরা হলেন উপজেলা যুবলীগের সাবেক আহ্বায়ক ও মোগড়া ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মো. মনির হোসেন এবং বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান ও উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক আহ্বায়ক মো. মুরাদ হোসেন। মনির হোসেন ঘোড়া প্রতীক ও মুরাদ হোসেন আনারাস প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে লড়াই করছেন।