ফরিদগঞ্জ (চাঁদপুর) প্রতিনিধি
চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জে ভারী বর্ষণে ফসলের মাঠে দেখা দিয়েছে জলাবদ্ধতা। কিন্তু এরই মধ্যে চলে এসেছে আমনের মৌসুম। এই অবস্থায় বীজতলা তৈরির মতো শুকনো জায়গা পাচ্ছিলেন না স্থানীয় কৃষকেরা।
তবে তাঁদের সেই দুশ্চিন্তা দূর করেছে রূপসা দক্ষিণ ইউনিয়নের সাহেবগঞ্জ মাধ্যমিক বিদ্যালয়। প্রতিষ্ঠানটির খেলার মাঠটিকে কৃষকদের বীজতলা তৈরির জন্য ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
স্কুলমাঠে বীজতলা প্রস্তুতকারী কৃষকদের একজন মোবারক হোসেন বলেন, ‘ইতিমধ্যে দুবার আমাদের বীজতলা নষ্ট হয়েছে। প্রশাসনের কর্মকর্তা এবং স্কুল কর্তৃপক্ষের সহযোগিতায় মাঠে আমরা বীজতলা তৈরি করেছি। বীজতলা তৈরি না করা গেলে একদিকে আমন উৎপাদন ব্যাহত হতো। অন্যদিকে আমদের না খেয়ে থাকতে হতো।’
বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক এ কে এম সাইফুদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘জলাবদ্ধতায় মাঠে কৃষকদের বীজতলা নষ্ট হয়ে যায়। তাঁদের অনুরোধের পরিপ্রেক্ষিতে খেলার মাঠে বীজতলা তৈরির সুযোগ দিয়েছি। আশা করি, এতে কৃষক এবং এলাকাবাসী উপকৃত হবেন।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কল্লোল কিশোর সরকার বলেন, ‘এ বছর আমাদের আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ৮ হাজার ৩৭৩ হেক্টর। জলাবদ্ধতায় লক্ষ্যমাত্রা অর্জন নিয়ে শঙ্কিত। চেষ্টা করছি, লক্ষ্যমাত্রার কাছাকাছি পৌঁছাতে। বীজতলা প্রস্তুত করার উপযোগী মাঠ না থাকায় স্কুলমাঠে বীজতলা তৈরির ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।’
তবে এ বিষয়ে কিছু জানেন না বলে জানিয়েছেন উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা এ কে মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ। তিনি বলেন, ‘আমরা কি এ ধরনের কাজের অনুমতি দিতে পারি?’
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মৌলি মণ্ডল বলেন, ‘মৌসুম চলে যাচ্ছে। যেহেতু জায়গা পাওয়া যাচ্ছে না, কৃষক যাবে কোথায়? তাদের তো আমাদের সাহায্য করতে হবে।’