উপজেলা নির্বাচনে মন্ত্রী-এমপি পরিবারের সদস্য ও নিকটাত্মীয়দের সরে দাঁড়াতে নির্দেশনা দিয়েছে আওয়ামী লীগ। এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে নোয়াখালীর সুবর্ণচর উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ। তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় তারা এ সিদ্ধান্তের জন্য প্রধানমন্ত্রীকে শুভেচ্ছা জানান এবং এমপি একরামুল করিম চৌধুরীকে দলীয় সিদ্ধান্ত মেনে চলার পরামর্শ দেন।
গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে সুবর্ণচর প্রেসক্লাবে উপজেলা আওয়ামী লীগের এক সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এতে বক্তব্য দেন–মরহুম স্পিকার আব্দুল মালেক উকিলের ছেলে ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বাহার উদ্দিন খেলন, সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ হানিফ চৌধুরী, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান ফরহাদ হোসেন চৌধুরী বাহার, চরজুবিলী ইউনিয়ন যুবলীগ সভাপতি রহমত উল্যাহ সোহেল।
সংবাদ সম্মেলনে বাহার উদ্দিন খেলন বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, সেটি সময়োপযোগী। তার সিদ্ধান্তের বাইরে যাওয়ার আমাদের কোনো সুযোগ নাই, যারা নেত্রীর সিদ্ধান্ত অমান্য করবে, তারা আওয়ামী লীগের নেতা কর্মী হতে পারে না।’
সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ হানিফ চৌধুরী বলেন, ‘আমি মনে করি শেখ হাসিনা যে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন সেটি দলের জন্য, দেশের জন্য, জনগণের জন্য একটি সময়োপযোগী সিদ্ধান্ত। যারা শেখ হাসিনার সিদ্ধান্ত অমান্য করবে, তাদের আওয়ামী লীগ করার কোনো অধিকার থাকবে না। আমরা দলের মধ্যে কোনো বিশৃঙ্খলা চাই না।’
সম্প্রতি গণমাধ্যমে ব্যাপক আলোচনায় উঠে আসে নোয়াখালীর সুবর্ণচর উপজেলা পরিষদের নির্বাচন। কেননা এই উপজেলায় নির্বাচন করছেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান এএইচএম খাইরুল আনম চৌধুরী সেলিম। তার প্রতিদ্বন্দ্বী হয়ে মাঠে নেমেছেন নোয়াখালী-৪ (সদর-সুবর্ণচর) আসনের সংসদ সদস্য একরামুল করিম চৌধুরীর ছেলে আতাহার ইশরাক সাবাব চৌধুরী।