কক্সবাজার প্রতিনিধি
কক্সবাজার সমুদ্র উপকূলে ভেসে এসেছে আরও তিনটি মৃত মা কচ্ছপ। অলিভ রিডলি বা জলপাই রঙের এসব সামুদ্রিক কচ্ছপ ডিম পাড়তে সৈকতের বালিয়াড়িতে আসার পথে মারা পড়েছে বলে মনে করছেন সমুদ্রবিজ্ঞানীরা। আজ রোববার সকালে কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সড়কের সোনারপাড়া সৈকতে একটি ও পাশের রেজুখালের মোহনায় একটি মৃত কচ্ছপ ভেসে আসে। এর আগে গতকাল শনিবার সন্ধ্যায় সোনারপাড়া সৈকতে ভেসে এসেছিল আরও একটি মা কচ্ছপ।
এ নিয়ে গত চার দিনে ভেসে এল ৯টি মাদি কচ্ছপ। সব কচ্ছপের পেটে ডিম ছিল।
বাংলাদেশ সমুদ্র গবেষণা ইনস্টিটিউটের (বোরি) জ্যেষ্ঠ বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা তরিকুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, ১০-১২ দিনের মধ্যে কচ্ছপগুলো মারা পড়েছে। প্রায় প্রতিদিনই ডিম পাড়তে আসা কচ্ছপ উদ্ধারের ঘটনা সবাইকে ভাবিয়ে তুলেছে। নভেম্বর থেকে মার্চ পর্যন্ত সামুদ্রিক কচ্ছপের প্রজনন মৌসুম জানিয়ে তিনি আরও বলেন, ধারণা করা হচ্ছে, জেলেদের জালে বা অন্য কোনোভাবে আঘাতপ্রাপ্ত হয়ে কচ্ছপগুলো মারা পড়ছে।
তিনি বলেন, আজ রোববার আসা দুটি কচ্ছপের পেটে ২১৫টি ডিম পাওয়া গেছে। গতকাল সন্ধ্যায় আসা কচ্ছপটির পেটে ছিল ৯৫টি ডিম।
তরিকুল ইসলাম জানান, দুটি কচ্ছপের পেছনের দুটি এবং সামনের একটি ফ্লিপার বা সাঁতার কাটা পাখনা ক্ষতিগ্রস্ত ছিল। আগে পাওয়া কচ্ছপগুলোর শরীরেও আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।
এর আগে গত শুক্র ও বৃহস্পতিবার ইনানী ও হিমছড়ি সৈকতে তিনটি ডলফিন এবং সুগন্ধা পয়েন্ট থেকে একটি বিপন্ন স্তন্যপায়ী পরপইসের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
বোরির হিসাবমতে, জানুয়ারি থেকে আজ ১৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত কক্সবাজার সমুদ্র উপকূলের সোনাদিয়া, হিমছড়ি, সোনারপাড়া, ইনানী ও টেকনাফ সৈকত থেকে অন্তত ২৮টি মৃত কচ্ছপ উদ্ধার করা হয়েছে।