কক্সবাজার প্রতিনিধি
কক্সবাজারের ঈদগাঁও উপজেলায় স্বামীকে খুঁজে না পেয়ে দুই শিশুসহ স্ত্রীকে গ্রেপ্তারের ঘটনায় থানার উপপরিদর্শক (এসআই) গিয়াস উদ্দিনকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার সকালে তাঁকে প্রত্যাহার করে পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কক্সবাজারের পুলিশ সুপার মো. মাহফুজুল ইসলাম।
জালালাবাদ ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান ইমরুল হাসান রাশেদ জানান, গত সোমবার ইউনিয়নের পূর্ব ফরাজী পাড়ার নজির শাহজাহানের সঙ্গে প্রতিবেশী হারুন অর রশীদের মধ্যে নলকূপের পানি চলাচল নিয়ে বাগ্বিতণ্ডা হয়। এ সময় শাহজাহান হারুন অর রশীদকে নখ কাটার যন্ত্র দিয়ে আঘাত করেন। ঘটনার খবর পেয়ে ঈদগাঁও থানার এসআই গিয়াস উদ্দিন সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে সকালে শাহজাহানের বাড়িতে অভিযান চালান।
এ সময় শাহজাহানকে না পেয়ে তাঁর স্ত্রী ফরিদা ইয়াসমিনসহ ৬ মাসের ও ২ বছরের দুই শিশুসহ থানায় নিয়ে যায়। পরে ভিকটিম হারুন অর রশীদের স্বজনদের থানায় ডেকে নিয়ে মামলা রেকর্ড করে মঙ্গলবার আদালতে সোপর্দ করে। বুধবার আদালত তাদের জামিন মঞ্জুর করেন। দুই শিশুসহ ফরিদা ইয়াসমিনের গ্রেপ্তারের বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে।
পুলিশ সুপার মো. মাহফুজুল ইসলাম বলেন, দুই শিশুসহ নারীকে থানা হাজতে আটক রাখার ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচার হওয়ার পর বিষয়টি নজরে আসে। এজাহারভুক্ত আসামি ফরিদা ইয়াসমিনকে পুলিশ গ্রেপ্তারে আইনগত জটিলতা নেই। তবে দুইশিশুসহ নারীকে থানায় এনে হাজতে রাখা এবং আদালতে পাঠানোর বিষয়টি পুলিশের প্রবিধান মতে হয়নি।
এদিকে এ ঘটনায় ঈদগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. গোলাম কবিরের প্রত্যাহার ও শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছে স্থানীয় লোকজন। আজ বৃহস্পতিবার সকালে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের ঈদগাঁও স্টেশনে এ কর্মসূচি পালন করা হয়।
মানববন্ধনে বক্তব্য দেন ঈদগাঁও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও জালালাবাদ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ইমরুল হাসান রাশেদ, জেলা যুবলীগ নেতা হুমায়ুন কবির চৌধুরী হিমু, সদর উপজেলা যুবলীগ নেতা মিজানুল হক ও নির্যাতিত নারী ফরিদা ইয়াসমিন।