ইয়াবা সম্রাট হিসেবে পরিচিত কক্সবাজারের বিতর্কিত সাবেক সংসদ সদস্য আব্দুর রহমান বদির বিশ্বস্ত সহযোগী ও এক ডজন মামলার আসামি টেকনাফ উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান জাফর আহমেদকে (৬৭) গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। গত বৃহস্পতিবার গভীর রাতে ঢাকার বাসাবোর একটি বাসায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। জাফর আহমেদ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তালিকাভুক্ত শীর্ষ মাদক কারবারি।
র্যাব-১৫ কক্সবাজার ব্যাটালিয়নের আইন ও গণমাধ্যম শাখার সিনিয়র সহকারী পরিচালক ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. কামরুজ্জামান গতকাল শুক্রবার রাত ১১টায় এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
পুলিশ সুপার মো. কামরুজ্জামান বলেন, টেকনাফে একটি হত্যাচেষ্টা মামলায় জাফরকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তালিকায় মাদক চোরাচালানের পৃষ্ঠপোষক হিসেবে জাফর আহমেদের নাম রয়েছে। তালিকায় মাদকের গডফাদার হিসেবে জাফরের দুই ছেলের নামও আছে।
তিনি জানান, ৫ আগস্ট রাতে টেকনাফ পৌর শহরে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ভাঙচুর, লুটপাট ও হামলার অভিযোগে আবদুর রহমান বদিকে প্রধান আসামি করে ৩৩ জনের নামে থানায় একটি মামলা হয়। এ মামলায় সাবেক উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান জাফর আহমেদকেও আসামি করা হয়েছে। বিএনপি নেতা মোহাম্মদ আবদুল্লাহ বাদী হয়ে টেকনাফ থানায় মামলাটি করেন। এতে অজ্ঞাত প্রায় ৭০ জনকে আসামি করা হয়।
মো. কামরুজ্জামান বলেন, ২০২২ সালের ডিসেম্বরে ১২৭৫ জন মাদক কারবারিকে তালিকাভুক্ত করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে। সেই প্রতিবেদনে জাফর আহমেদকে ইয়াবা সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রণের মূলহোতা হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। ২০১৯ সালে আত্মসমর্পণ করা ১০২ জন আত্মস্বীকৃত ইয়াবা ব্যবসায়ী জেল থেকে ছাড়া পেয়ে জাফরের নেতৃত্বে ও তত্ত্বাবধানে ইয়াবা ব্যবসা অব্যাহত রেখেছে।
গ্রেপ্তারকৃত জাফর আহমেমেদ বিরুদ্ধে মাদক, অস্ত্র, দুদকের মামলাসহ এক ডজন মামলা। কয়েকটি মামলায় তিনি জামিনে থাকলেও অধিকাংশ মামলা বিচারাধীন। ২০২১ সালের ২১ জানুয়ারি দুর্নীতি দমন কমিশনের করা জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের মামলায় আদালত তাকে কারাগারে পাঠিয়েছিলেন।
গ্রেপ্তার জাফর আহমেদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীনে রয়েছে বলে জানান র্যাবের এই কর্মকর্তা।