কক্সবাজার প্রতিনিধি
কক্সবাজারের টেকনাফের রোহিঙ্গা আশ্রয়শিবিরে অগ্নিকাণ্ডে দগ্ধ হয়ে আনোয়ারা সিদ্দিকা (৫) নামে এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। নিহত শিশু আনোয়ারা জি-২ ব্লকের মোহাম্মদ ইব্রাহীমের মেয়ে। সেই সঙ্গে শতাধিক বসতঘর, স্কুল, গুদামঘর ও দোকান পুড়ে গেছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার রাত ১১টার দিকে উপজেলার হ্নীলা ইউনিয়নের নয়াপাড়া মোচনী রেজিস্টার্ড আশ্রয়শিবিরের জি-ব্লকে এ ঘটনা ঘটে।
ক্যাম্পের একটি বসতঘরের মশার কয়েল থেকে আগুনের সূত্রপাত বলে জানিয়েছেন টেকনাফ ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন কর্মকর্তা মুকুল কুমার নাথ। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আগুন লাগার খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের দুটি ইউনিট অংশ নেয়। স্থানীয় রোহিঙ্গা ও এপিবিএন সদস্যদের চেষ্টায় রাত সাড়ে ১২টার মধ্যে আগুন নিয়ন্ত্রণে চলে আসে।’
আশ্রয়শিবিরের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা ১৬ আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) অধিনায়ক মোহাম্মদ কাউসার সিকদার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ক্যাম্পের একটি ঘরে আকস্মিক আগুন লাগার পর মুহূর্তেই তা আশপাশের স্থাপনাগুলোতে ছড়িয়ে পড়ে। কীভাবে আগুন লাগল তা তদন্তে পুলিশের পাশাপাশি ফায়ার সার্ভিস কাজ করছে।’
টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শেখ এহসান উদ্দিন বলেন, ‘অগ্নিকাণ্ডে গৃহহারা রোহিঙ্গাদের বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ও আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) সহযোগিতায় পার্শ্ববর্তী রোহিঙ্গা শিবিরের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ বিভিন্ন ধরনের প্রতিষ্ঠানে আশ্রয় দেওয়া হয়েছে।’
নয়াপাড়া রোহিঙ্গা আশ্রয়শিবিরের ইনচার্জ শাহরিয়ার মান্নান জানান, ‘অগ্নিকাণ্ডে ক্যাম্পের জি-২ ব্লকের ৬৫টি বসতঘর পুরোপুরি ভস্মীভূত হয়েছে। পাশের জি-৩ ব্লকের কয়েকটি ঘর আংশিক পুড়েছে। এ ছাড়া ব্লকের কয়েকটি দোকান, গুদামঘর ও লার্নিং সেন্টার পুড়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত রোহিঙ্গাদের খাদ্যসহায়তার পাশাপাশি পুনর্বাসনের উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।’
এর আগে ২৪ ডিসেম্বর উখিয়ার লম্বাশিয়া আশ্রয়শিবিরে (ক্যাম্প-১) ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। এতে অন্তত ৫০০ রোহিঙ্গার ঘর ভস্মীভূত হয়েছে। ওই আগুনে পুড়ে আট বছর বয়সী এক রোহিঙ্গা শিশুর মৃত্যু হয়।