কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই হল দুই দিনে পরপর তিনবার সংঘর্ষে জড়িয়েছে। এখন বিশ্ববিদ্যালয়সহ আশেপাশের এলাকায় উত্তপ্ত পরিস্থিতি বিরাজ করছে।
সর্বশেষ শনিবার দুপুর ২টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ফটকের সামনে নজরুল হলের ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের পেয়ে বঙ্গবন্ধু হলের নেতাকর্মীরা ধাওয়া দিলে সংঘর্ষ শুরু হয়।
সরেজমিনে দেখা যায়, দুপুর ২টা থেকে দুই হলের নেতাকর্মীরা পরস্পরের দিকে বাঁশ, গাছের ডাল, রড ও ইট-পাটকেল ছুঁড়তে থাকে। ক্যাম্পাসে প্রক্টরিয়াল বডির উপস্থিতিতে সংঘর্ষ বন্ধ থাকলেও এখনো থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, দুপুরে সংঘর্ষে প্রায় ৩০ জন নেতাকর্মী আহত হয়েছে। ১০ জনের অবস্থা গুরুতর বলে জানা গেছে। নজরুল হল শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি (ভারপ্রাপ্ত) নাজমুল হাসান পলাশও আহত হয়েছেন। গুরুতর আহত গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থী বায়েজিদ আহমেদ বাপ্পীকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
এ সময় ক্যাম্পাসে ছিলেন না বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ইলিয়াস হোসেন সবুজ। শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. রেজাউল ইসলাম মাজেদ সংঘর্ষ থামাতে গিয়েও মারধরের শিকার হয়েছেন। উত্তেজিত নেতাকর্মীরা তাঁর কথা শোনেননি।
বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাদাৎ মো. সায়েম বলেন, ‘আমাদের হলের নেতাকর্মীদের নজরুল হলের নেতাকর্মীরা প্রথমে মারধর করেছে। এরপর আমরা ঠেকাতে গিয়ে আহত হয়েছি।’
কাজী নজরুল ইসলাম হল ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাদ ইবনে সাদ বলেন, ‘আমাদের হলের নেতাকর্মীরা দুপুরে খেতে গিয়েছিল ক্যাম্পাস গেটে। তখন বঙ্গবন্ধু হলের নেতাকর্মীরা আমাদের হলের ছেলেদের মেরেছে।’
ঘটনাস্থলে উপস্থিত থাকা সদর দক্ষিণ থানার ওসি দেবাশীষ চৌধুরী বলেন, ‘আমরা ঘটনাস্থলে এসেছি। স্থায়ী সমাধানের জন্য চেষ্টা করছি। এখন পর্যন্ত সবকিছু শান্ত আছে।’