কর্ণফুলী (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি
চট্টগ্রামের আনোয়ারায় নিজেদের ঘরে ঢুকে ১৯ বছরের এক তরুণীকে দলবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ মঙ্গলবার তাঁদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
এর আগে সোমবার রাত ১০টায় উপজেলার বৈরাগ ইউনিয়নের গুয়াপঞ্চক এলাকা থেকে পুলিশের একটি টিম তাঁদের গ্রেপ্তার করে। গত রোববার রাত সাড়ে ৯টায় উপজেলার বৈরাগ ইউনিয়নে এ ধর্ষণের ঘটনা ঘটে।
গ্রেপ্তাররা হলেন গুয়াপঞ্চক এলাকার মৃত মোহাম্মদ কামালের ছেলে মোহাম্মদ সাকিব (২০) ও একই এলাকার মোহাম্মদ ইউসুফের ছেলে সাইফুল ইসলাম মানিক (২২)।
এ বিষয়ে আনোয়ারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সোহেল আহমেদ বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, এ ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। জড়িত বাকি আসামিদের গ্রেপ্তারে পুলিশ অভিযান চালাচ্ছে। ভুক্তভোগী তরুণীকে ডাক্তারি পরীক্ষা ও চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, গ্রেপ্তারদের মঙ্গলবার দুপুরে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।
ভুক্তভোগী তরুণী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বাঁশখালীর এক ছেলের সঙ্গে আমার প্রেমের সম্পর্ক রয়েছে। সে মোটরসাইকেল নিয়ে আমাদের বাড়িতে আসলে তাঁকে মারধর করে পাহাড়ে নিয়ে যায়। এ সময় আমাকে ঘরের মধ্যে আটকে রাখে তারা। এরপর আমার হাত ও মুখ বেঁধে একের পর এক ধর্ষণ করে। কাউকে বললে প্রাণে মেরে ফেলবে বলে হুমকি দিয়ে যায়।’
ভুক্তভোগীর বড় বোন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘রোববার সকালে আমি আমার মাকে ডাক্তার দেখানোর জন্য চট্টগ্রাম শহরে যাই। ঘরের মধ্যে আমার ছোট বোন ও আমার তিন ছেলে ছিল। এ সময় বোনের বন্ধু তার সঙ্গে দেখা করতে আসলে, এলাকার বখাটে ছেলেগুলো তার মোটরসাইকেল নিয়ে মারধর করে পাহাড়ে নিয়ে যায়। ঘরের মধ্যে আটকে রাখে আমার বোনকে। তাকে মারধর করে একের পর এক গণধর্ষণ করে তারা। পরের দিন সোমবার তার স্বাস্থ্যের অবনতি হলে ঘটনাটি আমাদের জানায়। পরে স্থানীয়দের সহযোগিতায় জড়িতদের পুলিশ গ্রেপ্তার করে।’
তিনি আরও বলেন, ‘পাহাড়ে আটকে থাকা বোনের বন্ধুকে তার বাবা নগদ ৭৫ হাজার টাকা দিয়ে ছাড়িয়ে নিয়েছে।’