ফরিদগঞ্জ (চাঁদপুর) প্রতিনিধি
চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ও তাঁর কর্মীদের বিরুদ্ধে প্রচারে বাধাসহ বিভিন্ন অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন করেছেন চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী আনারস প্রতীকের আমীর আজম রেজা। গতকাল মঙ্গলবার রাতে ফরিদগঞ্জ প্রেসক্লাবে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে আমীর আজম রেজা বলেন, ‘আমাদের নেতা-কর্মীরা ঠিকমতো নির্বাচনী প্রচার করতে পারছেন না। প্রচারে বাধা, মাইক ভাঙচুর এবং বিভিন্ন স্থানে নেতা-কর্মীদের ওপর হামলা করে আহত করা হয়েছে। বেশ কয়েকজন সমর্থক হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন। বিভিন্ন এলাকা থেকে ব্যানার, ফেস্টুন নষ্ট করা হচ্ছে।’
আমীর আজম রেজা আরও বলেন, ‘চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী চিংড়ি প্রতীকের খাজে আহমেদ মজুমদারের লোকজন আমাদের কর্মী-সমর্থকদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে হুমকি দিচ্ছে। বিশ্বস্ত সূত্রে আমরা জানতে পেরেছি, আগামী ২৫ মে থেকে তারা আরও সহিংস হয়ে উঠবে। তারা আমার আনারস প্রতীকের কোনো কর্মীকে মাঠে থাকতে দেবে না।’
থানায় মৌখিক ও লিখিত অভিযোগ দিলেও কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না বলে দাবি করেন আমীর আজম রেজা। তিনি বলেন, ‘অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ এবং নির্বাচন কমিশনের কাছে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের দাবি জানাই।’
সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দেন সাবেক পৌর মেয়র মাহফুজুল হক। তিনি বলেন, ‘আমি আনারস প্রতীকের পক্ষে নির্বাচন করায় চিংড়ি প্রতীকের প্রার্থীর কর্মীদের হুমকির মুখে রয়েছি। আমি প্রশাসনকে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি করছি এবং জনগণকে তাঁদের কাঙ্ক্ষিত প্রার্থীকে ভোট দেওয়ার ব্যবস্থা করার দাবি করছি। আমরা অচিরেই সন্ত্রাসীদের তালিকা প্রশাসনকে দেব।’
ফরিদগঞ্জ প্রেসক্লাবের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এম কে মানিক পাঠানের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম ফরহাদের পরিচালনায় সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন আনারস প্রতীকের নির্বাচন পরিচালনার অন্যতম সমন্বয়কারী নজরুল ইসলাম, সদস্য দেলোয়ার হোসেন, হানিফ রাজা, বীর মুক্তিযোদ্ধা সফর আলী প্রমুখ।
অভিযোগের বিষয়ে চিংড়ি প্রতীকের প্রার্থী খাজে আহমেদ মজুমদার বলেন, ‘আমার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর উপস্থাপিত সব অভিযোগ অসত্য। আমার জনপ্রিয়তা দেখে প্রকৃতপক্ষে তাঁর হিংসে হচ্ছে। নির্বাচনের আমেজ নষ্ট করতে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী টালবাহানা শুরু করেছেন।’