টানা ভারী বর্ষণ ও উজান থেকে আসা পানিতে স্মরণকালের ভয়াবহ বন্যার কবলে পড়েছে ফেনীর পরশুরাম, ফুলগাজী ও ছাগলনাইয়া উপজেলা। মুহুরি, কহুয়া ও সিলোনিয়া নদীর বন্যানিয়ন্ত্রণ বাঁধের ভাঙন দিয়ে পানি ঢুকে ডুবছে জনপদ। ঘরবাড়ি, রাস্তাঘাট তলিয়ে যাওয়ায় দিশেহারা হয়ে পড়েছে মানুষ।
জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে বন্যাকবলিত এলাকায় আটকে পড়া মানুষকে উদ্ধারে সেনাবাহিনী ও কোস্ট গার্ডের সহযোগিতা চাওয়া হয়। এরই পরিপ্রেক্ষিতে আজ বুধবার বানভাসি মানুষকে উদ্ধারে কাজ শুরু করেছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী। একই সঙ্গে বিজিবি ও শত শত স্বেচ্ছাসেবক উদ্ধার ও খাদ্যসহায়তা প্রদান করছে।
পরশুরাম উপজেলার সাতকুচিয়া এলাকার বয়োবৃদ্ধ আবদুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বিগত জীবনে এমন ভয়াবহ বন্যা কখনো দেখিনি। সময় বাড়ার সঙ্গে বন্যার পানি ভয়াবহ রূপ ধারণ করছে। টানা বৃষ্টি হওয়ায় পরিস্থিতি আরও খারাপ হচ্ছে।’
উঠেছে। স্ত্রী–সন্তানদের শহরের আত্মীয়ের বাসায় পাঠিয়েছে। বাড়িতে অনেক জিনিসপত্র রয়েছে, তাই ঝুঁকি নিয়ে আমি রয়ে গেছি।’
রাসেল নামে এক স্বেচ্ছাসেবক বলেন, ‘ইতিমধ্যে দেশের বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের পক্ষ থেকে সহায়তা নিয়ে আসছে। কিন্তু পানির তীব্র স্রোতের কারণে পরশুরামে যাওয়া সম্ভব হচ্ছে না। তারপরও আমাদের সদস্যরা বিভিন্ন পয়েন্টে কাজ করার চেষ্টা করছে। টানা বৃষ্টিতে চারদিকে পানি থইথই।’
ফেনী জেলা প্রশাসক মুছাম্মৎ শাহীনা আক্তার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বন্যাদুর্গতদের উদ্ধারে সেনাবাহিনী স্পিডবোট নিয়ে কাজ শুরু করেছে। তাদের সঙ্গে কোস্ট গার্ডের একটি টিম শিগগিরই যোগ দেবে। এ ছাড়া বিজিবি ও স্বেচ্ছাসেবকেরা সকাল থেকে আটকে পড়া মানুষদের নিরাপদ আশ্রয়ে আনতে কাজ করছে।’