ফরিদগঞ্জ (চাঁদপুর) প্রতিনিধি
ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীতে এমভি অভিযান-১০ লঞ্চে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে দগ্ধ চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ উপজেলার একই পরিবারের বাবা-মা ও মেয়েসহ তিনজন। নদীতে ঝাঁপ দিলেও বাঁচতে পারেননি মা মনোয়ার বেগম (৫০)। এ দুর্ঘটনায় তার স্বামী বিল্লাল হোসেন (৬০) ও ছোট মেয়ে আমেনা আক্তার (১৪) দগ্ধ হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
আজ শনিবার সকালে বরগুনা জেলা প্রশাসক (ডিসি) মো. হাবিবুর রহমান গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তাঁদের বাড়ি ফরিদগঞ্জ উপজেলার বিশেষবন্দ গ্রামের হাজী বাড়ির।
এর আগে, ঢাকা সদরঘাট থেকে ছেড়ে আসা লঞ্চটিতে বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৯টায় অন্যান্যদের সঙ্গে যাত্রী হয়ে ওঠেন এই একই পরিবারের তিন সদস্য।
নিহত মনোয়ার বেগমের মেয়ে কুলসুমা বেগম জানান, ওই রাতে ঝালকাঠির গ্রামে তাঁদের বড় মেয়ে ফাতেমা আক্তারের শ্বশুরের মৃত্যুর সংবাদ শুনে সেখানে রওনা দেন তাঁরা। তাঁদের বহনকারী লঞ্চ সুগন্ধা নদীর মাঝখানে পৌঁছালে হঠাৎ আগুন ধরে যায়। জীবন বাঁচাতে তারা তিনজনই অগ্নিদগ্ধ অবস্থায় নদীতে লাফিয়ে পড়েন। বাবা মেয়ে সাঁতরে তীরে উঠতে পারলেও মনোয়ারা বেগমকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি।
পরবর্তীতে শনিবার সকালে দুর্ঘটনার স্থান থেকে প্রায় এক কিলোমিটার দূরে মনোয়ারা বেগমের মরদেহ ভেসে উঠে। সেখান থেকে ফায়ার সার্ভিসের লোকজন মরদেহটিকে উদ্ধার করলে মনোয়ারা বেগমের ছেলে মোস্তফা তাঁর মায়ের মরদেহ শনাক্ত করেন। এ ঘটনায় তাঁদের পুরো গ্রামে এখন চলছে শোকের মাতম।