প্রতিনিধি, ওসমানীনগর
সোমালিয়ার জলদস্যুদের হাতে জিম্মি এমভি আবদুল্লাহ জাহাজে থাকা ২৩ বাংলাদেশির একজন ফেনীর দাগনভূঞা উপজেলার মাতুভূঞা ইউনিয়নের মোমারিজপুর গ্রামের ছেলে ইব্রাহীম খলিল উল্লাহ বিপ্লব (৩৮)। তিনি ওই গ্রামের রৌশন ভূঁইয়া বাড়ির আবুল হোসেন ভূঁইয়ার ছেলে। তাঁর মায়ের নাম রৌশনারা।
আজ বুধবার দুপুরে সরেজমিন তাঁর বাড়িতে গেলে তাঁর বৃদ্ধ বাবা কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, গতকাল বিকেল ৫টা ২৪ মিনিটে তাঁর ছেলে ফোন করে বলেন, মোজাম্বিক থেকে দুবাই যাওয়ার পথে সোমালিয়ার জলদস্যুরা তাঁদের জিম্মি করেছে। তিনি বাবাকে বলেন, ‘আমার সাথে আর দেখা না-ও হতে পারে, আমার জন্য দোয়া করবেন।’ সরকার ও জাহাজের মালিক কর্তৃপক্ষের কাছে আকুতি জানিয়ে বলেন, জিম্মিদের মুক্ত করতে যেন দ্রুত উদ্যোগ নেওয়া হয়। ওই জাহাজে তিনি ইলেকট্রিশিয়ানের পদে কর্মরত আছেন।
দুই ছেলের জনক ইব্রাহীম খলিল উল্লাহ বিপ্লব। আট বছর আগে জাহাজের চাকরিতে যোগ দেন। চার মাস আগে বাড়িতে এসে এক মাস থেকে আবার জাহাজে চলে যান।
আবুল হোসেনের ভূঁইয়ার চার ছেলে দুই মেয়ের মধ্যে বিপ্লব সবার বড়। পরিবারের একমাত্র কর্মক্ষম ব্যক্তি তিনি। স্ত্রী উম্মে সালমা সোনিয়া কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, সোমালিয়ার জলদস্যুরা যখন জাহাজে আক্রমণ করছে বাংলাদেশ সময় বেলা ২টার দিকে; তখন তাঁর স্বামী তাঁর কাছে ফোন দেন। দোয়া করার জন্য বলেন। সেই সঙ্গে দুই সন্তান ইব্রাহিম আল রেদোয়ান (৭) ও লুতফুর রহমান রিহান (৩) দেখে রাখার জন্য অনুরোধ করেন।
দাগনভূঞা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল হাসিম বলেন, ‘জিম্মি ২৩ বাংলাদেশির মধ্যে দাগনভূঞা উপজেলার একজনের খবর আমরা জানতে পেরেছি। ওই বাড়িতে আমাদের পুলিশের একটি টিম পাঠানো হয়েছে। তারা খোঁজখবর নিচ্ছে।’
আরও পড়ুন—