লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি
লক্ষ্মীপুর ও রামগঞ্জে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বিক্ষোভ মিছিলে আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মীদের হামলায় দুই সাংবাদিকসহ অন্তত ৩০ জন আহত হয়েছে। তাঁদের মধ্যে আজকের পত্রিকার রামগঞ্জ উপজেলা প্রতিনিধি ফারুক মাহমুদ ও মানবজমিন পত্রিকার জেলা প্রতিনিধি মো. ইউসুফ রয়েছেন।
আজ শুক্রবার জুমার নামাজ শেষে লক্ষ্মীপুর শহরের চকবাজার ও রামগঞ্জের পুলিশ বক্সের সামনে এই হামলার ঘটনা ঘটে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে শহরে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে আজ শহরের চকবাজার জামে মসজিদে জুমার নামাজের পর বিক্ষোভ মিছিলের কর্মসূচি ঘোষণা করে আন্দোলনকারীরা। নামাজ শেষ না হতেই সাবেক জেলা যুবলীগের সভাপতি ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এ কে এম সালাউদ্দিন টিপুর নেতৃত্বে যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতা–কর্মীরা জড়ো হয়ে বিক্ষোভ মিছিল করে। এ সময় মসজিদে আসা মুসল্লিসহ ছাত্র আন্দোলনকারীদের ধাওয়া দেন। এতে ছত্রভঙ্গ হয়ে যায় তাঁরা। পরে কলেজ রোড এলাকায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকারীরা বৃষ্টি উপেক্ষা করে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ মিছিল বের করেন।
শিক্ষার্থীরা জানান, বিনা উসকানিতে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও যুবলীগের সাবেক সভাপতি এ কে এম সালাউদ্দিন টিপু ও জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শাহাদাত হোসেন ভূঁইয়ার নেতৃত্বে যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতা–কর্মীরা কোটা আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালিয়ে অন্তত ১৫ জনকে আহত করেন। এ ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান তাঁরা।
তবে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও সাবেক যুবলীগের সভাপতি এ কে এম সালাউদ্দিন টিপু বলেন, ‘জামায়াত-শিবিরের নেতা–কর্মীরা আমাদের ওপর হামলা চালিয়ে বেশ কয়েকজন নেতা-কর্মীকে মারধর করে। এ ছাড়া বাসাকে লক্ষ্যে করে ইটপাটকেল ছোড়ে তারা।’
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হাসান মোস্তফা স্বপন বলেন, ‘পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। যারাই উসকানি দিয়ে সংঘর্ষে জড়াচ্ছে, তদন্ত করে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। শহরের গুরুত্বপূর্ণ স্থানে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।’