কুড়িগ্রামের উলিপুর উপজেলায় সরকারি খাদ্যগুদাম থেকে দুস্থ মহিলা উন্নয়ন (ভিজিডির) কর্মসূচির জন্য খাবার অযোগ্য চাল সরবরাহের অভিযোগ উঠেছে। আজ রোববার বিকেলে নিম্নমানের এসব চাল উলিপুর সরকারি খাদ্যগুদাম থেকে উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে বিতরণের জন্য পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করে নিম্নমানের চাল সরবরাহ বন্ধের দাবি জানিয়েছেন ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যান।
উপজেলার ১৩টি ইউনিয়নে সরকারি খাদ্যগুদাম থেকে জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারি মাসের ভিজিডির (দুস্থ ভাতার কার্ডের বিপরীতে) চাল সরবরাহ করা হচ্ছে। প্রায় ১৯০ টন চাল ইউনিয়নগুলোতে সরবরাহ করা হবে।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, খাদ্যগুদাম থেকে খাবার অযোগ্য পোকাযুক্ত (হাতিয়া পোকা) ও দুই বছরের পুরোনো চাল সরবরাহ করা হচ্ছে। এরই মধ্যে উপজেলার বুড়াবুড়ি, ধরণীবাড়ী, তবকপুর ও বজরা ইউনিয়নে এ চাল সরবরাহ করা হয়েছে। ৩০ কেজি চালের বস্তার ভেতরে ও বাইরে বাসা বেঁধেছে হাতিয়া পোকা। চালগুলো পুরোনো হওয়ায় ইতিমধ্যেই সেগুলোতে পাউডার (ডাস্ট) দেখা দিয়েছে, যা খাবার অযোগ্য ও নিম্নমানের।
খাদ্যগুদাম সূত্রে জানা গেছে, ভিজিডির চাল সরবরাহের জন্য জেলা সদরের সরকারি খাদ্যগুদাম থেকে ট্রাকের মাধ্যমে এই চাল উলিপুর খাদ্যগুদামে সরবরাহ করা হচ্ছে।
ট্রাকচালক ইয়াছিন আলী বলেন, ‘কুড়িগ্রাম সরকারি খাদ্যগুদাম থেকে ৩০ কেজি ওজনের ৬২৯ বস্তা চাল উলিপুর গুদামে এনেছি। চালগুলো খাবার অযোগ্য। এগুলো মানুষ খেতে পারবে না।’
খাদ্যগুদাম কর্মকর্তা শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘চালগুলো উলিপুর খাদ্যগুদামের ক্রয় করা নয়। এ ছাড়া চালগুলো এক বছর আগের। এ কারণে একটু সমস্যা হতে পারে।’
ইউএনও আতাউর রহমান বলেন, ‘ইউপি চেয়ারম্যানের মাধ্যমে নিম্নমানের খাবার অযোগ্য চাল সরবরাহের কথা শুনেছি। বিষয়টি নিয়ে উপজেলা খাদ্য বিভাগের সঙ্গে কথা হয়েছে। খারাপ চাল ফেরত নিয়ে ভালো চাল সরবরাহের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।’