হোম > সারা দেশ > কক্সবাজার

৫ লাখ টাকার লোভে মসজিদের মাইকে মিথ্যা ঘোষণা দেন ৩ সোর্স

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম

২০২০ সালের ৩১ জুলাই ঈদুল আজহার আগের রাতে আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) চেকপোস্টে মেজর (অব.) সিনহাকে হত্যা করা হয়। কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সড়কের বাহারছড়া ইউনিয়নের শামলাপুরে এ ঘটনা ঘটে। বাহারছড়া তদন্তকেন্দ্রের পুলিশ পরিদর্শক লিয়াকত আলী তাঁকে গুলি করেন বলে মামলার তদন্তে উঠে এসেছে।

মামলার তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়, সিনহা তাঁর সঙ্গী সিফাতকে সঙ্গে নিয়ে মারিশবুনিয়ার টুইন্যার পাহাড়ে ‘টাইম ল্যাপস’ ভিডিও করতে গিয়েছিলেন। সন্ধ্যার পর পাহাড়ে আলো দেখে স্থানীয় কয়েকজন তাঁদের ডাকাত বলে সন্দেহ করেন।

মারিশবুনিয়ার মসজিদ থেকে যখন ‘ডাকাত’ বলে মাইকিং করা হচ্ছিল, তখন নিষেধ করেছিলেন ইমাম জহির আলম। তিনি বলেছিলেন, তাঁরা সেনাবাহিনীর লোক। পাহাড়ে যাওয়ার সময় তাঁর সঙ্গে তাঁদের দেখা হয়েছিল।

আজ সোমবার রায় পড়ার সময় আদালত জানান, সাবেক ওসি প্রদীপ কুমার দাশ কক্সবাজারের বাহারছড়ার মারিশবুনিয়া গ্রামে ওই ঘটনার দিন সোর্সকে সিনহার বিষয়ে বিস্তারিত বলেছিলেন। মুখের কথায় রাজি না হওয়ায় তাঁদের ৫ লাখ টাকা করে দেওয়ার লোভ দেখান প্রদীপ। 

টাকার লোভে পড়ে মসজিদের মাইক দিয়ে পাহাড়ে ‘ডাকাত’ পড়েছে বলে ঘোষণা দেন তাঁরা। 

জেনেবুঝে হত্যা চেষ্টায় অংশগ্রহণ করায় ওই তিন সোর্স নুরুল আমিন, মোহাম্মদ আইয়াজ ও মো. নিজাম উদ্দিনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

এ মামলায় আজ ঘোষিত রায়ে বাহারছড়া তদন্তকেন্দ্রের তৎকালীন পরিদর্শক লিয়াকত আলী ও টেকনাফ থানার তৎকালীন ওসি প্রদীপ কুমার দাশের মৃত্যুদণ্ডের রায় দিয়েছেন আদালত। 

যাবজ্জীবন কারাদণ্ড পাওয়া আসামিরা হলেন বাহারছড়া তদন্তকেন্দ্রের তৎকালীন এসআই নন্দদুলাল রক্ষিত, কনস্টেবল সাগর দেব, রুবেল শর্মা, পুলিশের সোর্স নুরুল আমিন, নিজাম উদ্দিন ও আয়াজ উদ্দীন।

আর বেকসুর খালাস পেয়েছেন আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) এসআই শাহজাহান আলী, কনস্টেবল মো. রাজীব, মো. আব্দুল্লাহ, পুলিশের কনস্টেবল সাফানুল করিম, কামাল হোসেন, লিটন মিয়া ও পুলিশের কনস্টেবল আব্দুল্লাহ আল মামুন।

আজ কক্সবাজারের জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ ইসমাঈল বিকেল ৪টা ১৫ মিনিটে এই রায় দেন। হত্যাকাণ্ডের ১৮ মাসের মাথায় এ রায় দিলেন আদালত। 

রায় ঘোষণার সময় আদালত তাঁর পর্যবেক্ষণে বলেন, ‘ঠান্ডা মাথায়, ষড়যন্ত্রমূলক ও পরিকল্পিতভাবে খুন করা হয়েছে।’

২০২০ সালের ৩১ জুলাই ঈদুল আজহার আগের রাতে কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সড়কের বাহারছড়া ইউনিয়নের শামলাপুর এপিবিএন চেকপোস্টে সিনহা হত্যার ঘটনা ঘটে। পুলিশের গুলিতে নিহত হন তিনি। পুলিশ পরিদর্শক লিয়াকত আলী তাঁকে গুলি করেন বলে মামলার তদন্তে উঠে এসেছে।

হত্যাকাণ্ডের চার দিন পর ৫ আগস্ট সিনহার বড় বোন শারমিন শাহরিয়ার ফেরদৌস বাদী হয়ে কক্সবাজার জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম আদালতে হত্যা মামলা করেন। মামলায় টেকনাফ থানার তৎকালীন ওসি প্রদীপ কুমার দাশসহ ৯ জনকে আসামি করা হয়।

সিনহা হত্যা মামলা সম্পর্কিত আরও পড়ুন:

হেডফোন কানে রেললাইনে যুবক, ট্রেনে কাটা পড়ে নিহত

ওসমান হাদি হত্যার বিচারের দাবি চবির আধিপত্যবাদবিরোধী শিক্ষক ঐক্যের

লক্ষ্মীপুরে বিএনপি নেতার ঘরে আগুন: মামলা হয়নি, নাশকতার ‘বিশ্বাসযোগ্য’ প্রমাণ মেলেনি

কর্ণফুলীতে ট্রাফিক পুলিশের ওপর হামলা, আটক ১০

রাউজানে বাইরে থেকে দরজা বন্ধ করে ৩ বসতঘরে অগ্নিসংযোগের অভিযোগ

কুমিল্লায় একাধিক মামলার আসামি শামীম গ্রেপ্তার

চট্টগ্রামে ওসমান হাদির গায়েবানা জানাজা

লক্ষ্মীপুরে মাটি খুঁড়ে মিলল চট্টগ্রামে থানা থেকে লুট হওয়া অস্ত্র, যুবক গ্রেপ্তার

মিরসরাইয়ে গাড়ির ধাক্কায় ভ্যানচালক নিহত

আনিসুল ইসলামের গ্রামের বাড়িতে হামলা-অগ্নিসংযোগ