হোম > সারা দেশ > ব্রাহ্মণবাড়িয়া

ইউপি সচিবের হয়রানিতে অতিষ্ঠ এলাকাবাসী, অতঃপর শোকজ

সরাইল (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি

জন্মনিবন্ধন নিয়ে জনগণকে হয়রানি, কর্মক্ষেত্রে অবহেলা, অফিসে অনিয়মিত হাজিরা এসব অভিযোগ তাঁর বিরুদ্ধে। তাঁর হয়রানিতে শুধু জনগণ নয় খোদ ইউপি চেয়ারম্যান। জেলা প্রশাসকের কাছে অভিযোগ দেওয়ার পর শোকজ করা হয় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল সদর ইউনিয়ন পরিষদের সচিব মোহাম্মদ রুবেল ভুইয়াকে।

নানা অনিয়মের অভিযোগে রুবেল ভুইয়ার বিরুদ্ধে জেলা প্রশাসক বরাবর আবেদন করেন ওই ইউনিয়ন পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান মো.আব্দুল জব্বার। তাঁর এই আবেদনের প্রেক্ষিতে গতকাল রোববার বিকেলে ইউপি সচিব রুবেল ভুইয়াকে শোকজ করেছেন জেলা প্রশাসক। এর আগে তাঁকে শোকজ করেছিলেন সরাইল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আরিফুল হক মৃদুল।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, সরাইল সদর ইউনিয়ন পরিষদে চলতি বছরের ৮ জুলাই যোগদান করেন তিনি। শুরু থেকেই দায়িত্ব পালনে অনীহা। সুবিধাভোগীদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার ও কাজে দীর্ঘসূত্রতা নিত্যদিনের বিষয়। তাঁর দায়িত্বজ্ঞানহীন কর্মকাণ্ড ও হয়রানিতে চরমভাবে অতিষ্ঠ হয়ে গতকাল রোববার  ইউনিয়ন পরিষদ ঘেরাও করেন স্থানীয় লোকজন। সরকারি চাকরির নিয়মনীতির কোনো তোয়াক্কা করেন না তিনি। ফলে ইউনিয়ন পরিষদের গুরুত্বপূর্ণ কার্যক্রম অনেকটা থমকে আছে। ইউনিয়ন পরিষদের সেবা নিতে এসে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে হাজার হাজার মানুষকে।

এর আগে গতকাল রোববার সকালে সরাইল সদর ইউনিয়ন পরিষদে সচিবের অফিস ঘেরাও করেন ভুক্তভোগীরা। জন্ম নিবন্ধনের সনদপত্র, ট্রেড লাইসেন্সসহ নানা কাজে সেবা নিতে আসেন অনেকে। কিন্তু সচিবের কক্ষ তালাবদ্ধ। অন্যদিকে নিয়মিত ইউপি সচিব পরিষদে না আসায় সব কার্যক্রম পরিচালনা করতে গিয়ে হিমশিম খাচ্ছেন ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল জব্বার।

সদর ইউনিয়নের সৈয়দটুলা গ্রামের বাসিন্দা সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘আমি প্রতিদিন সচিবের অফিসে এসে ফিরে যাই। আমাদের কি অন্য কাজ কর্ম নাই? শুধু এখানে আইসা ঘণ্টার পর ঘণ্টা, দিনের পর দিন ঘুরে যাই। স্কুল থেকে বাচ্চাদের কাগজ পত্র জমা দিতে বলতাছে দিতে পারতাছি না।’

ভুক্তভোগীদের সঙ্গে নিয়ে চেয়ারম্যান অফিসে ঢুকে চেয়ারম্যানকে উদ্দেশ্য করে সাবেক উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান শেরআলম মিয়া বলেন, ‘আপনি অফিস তালা দিয়ে চলে যান, তাহলে সাধারণ মানুষ মনে করবে চেয়ারম্যানও নাই, সচিবও নাই। তখন সাধারণ মানুষ আর অফিসে আসবে না। হয়রানির শিকারও হবেন না।’

এ বিষয়ে অভিযুক্ত ইউপি সচিব রুবেল ভুইয়া বলেন, ‘আমি অসুস্থ, সেই জন্য আসতে পারিনি। আর গত সপ্তাহেও আমি অফিস করেছি।’

এ বিষয়ে জানতে চাইলে সদর ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল জব্বার বলেন, ‘সচিব রুবেল ভুইয়া সরাইল সদর ইউপিতে যোগদানের পর থেকে নিয়মিত অফিস না করার বিষয়টি ডিসি মহোদয় ও ইউএনও মহোদয়কে অবগত করেছি এবং তাঁর বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দিয়েছি। আপনারা একটু ধৈর্য ধরেন। অচিরেই তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

সরাইল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আরিফুল হক মৃদুল বলেন, ‘দায়িত্ব পালনে অবহেলাসহ তাঁর সকল অনিয়মের কারণে জেলা প্রশাসক মহোদয় শোকজ করেছেন। এর আগে আমি শোকজ করেছি। এরপর তাঁর বিরুদ্ধে বিভাগীয়ভাবে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

ওসমান হাদি হত্যার বিচারের দাবি চবির আধিপত্যবাদবিরোধী শিক্ষক ঐক্যের

লক্ষ্মীপুরে বিএনপি নেতার ঘরে আগুন: মামলা হয়নি, নাশকতার ‘বিশ্বাসযোগ্য’ প্রমাণ মেলেনি

কর্ণফুলীতে ট্রাফিক পুলিশের ওপর হামলা, আটক ১০

রাউজানে বাইরে থেকে দরজা বন্ধ করে ৩ বসতঘরে অগ্নিসংযোগের অভিযোগ

কুমিল্লায় একাধিক মামলার আসামি শামীম গ্রেপ্তার

চট্টগ্রামে ওসমান হাদির গায়েবানা জানাজা

লক্ষ্মীপুরে মাটি খুঁড়ে মিলল চট্টগ্রামে থানা থেকে লুট হওয়া অস্ত্র, যুবক গ্রেপ্তার

মিরসরাইয়ে গাড়ির ধাক্কায় ভ্যানচালক নিহত

আনিসুল ইসলামের গ্রামের বাড়িতে হামলা-অগ্নিসংযোগ

চট্টগ্রামে ভারতীয় হাইকমিশন ও মিডিয়া ভবনে নিরাপত্তা জোরদার