ফেনীর দাগনভূঞায় একটি মাদ্রাসার শিশুশিক্ষার্থীকে লোহার শিকল দিয়ে বেঁধে নির্মমভাবে নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে অধ্যক্ষ ফখরুল ইসলামের বিরুদ্ধে। গতকাল শনিবার রাত ৩টার দিকে মাদ্রাসা থেকে পালিয়ে যাওয়ার সময় শিকলে বাঁধা অবস্থায় টহল পুলিশের একটি দল তুলাতুলি নামক বাজার থেকে তাকে উদ্ধার করে। পরে আজ রোববার সকালে নির্যাতনের ঘটনায় পুলিশ অভিযুক্ত শিক্ষক ফখরুল ইসলামকে মাদ্রাসা থেকে আটক করে।
পুলিশ ও ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর বাবা জানান, চলতি বছরের শুরুতে মাদ্রাসায় ভর্তি করান তাঁর ছেলেকে। গতকাল ছেলেকে মাদ্রাসায় দেখতে গেলে নির্যাতনের বিষয়টি তাঁকে জানায় তাঁর ছেলে। সে আর ওই মাদ্রাসায় লেখাপড়া করবে না বলে জানায়। পরে তার বাবা বুঝিয়ে তাকে মাদ্রাসায় রেখে যান। এরপর ওই অধ্যক্ষ বিষয়টি জেনে ক্ষিপ্ত হয়ে যান। পরে শিশুটিকে লোহার শিকল দিয়ে বেঁধে মাদ্রাসার একটি কক্ষে আটকে রেখে লাঠি দিয়ে নির্মমভাবে পিটিয়ে মারাত্মক জখম করে। পরে রাত ৩টায় শিশুটি বাথরুমে যাওয়ার কথা বলে পালিয়ে রাস্তায় নেমে এলে টহলরত পুলিশের একটি দল তাকে দেখে উদ্ধার করে।
নির্যাতিত শিক্ষার্থীর এক সহপাঠী জানায়, অভিযুক্ত অধ্যক্ষ মাদ্রাসার সব শিক্ষার্থীকে বেশির ভাগ সময় নানা অজুহাতে মারধর করেন।
এ বিষয়ে দাগনভূঞা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাসান ইমাম জানান, ঘটনার খবর পেয়ে সকালেই অভিযুক্ত অধ্যক্ষ ফখরুল ইসলামকে আটক করে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। ঘটনায় ভুক্তভোগী পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ দিলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।