চাঁদপুরে গত বুধবার থেকে টানা বৃষ্টিতে বিভিন্ন এলাকায় জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। এতে কয়েকটি বাসাবাড়িসহ মসজিদেও পানি ঢুকে পড়েছে। এ অবস্থায় ভোগান্তিতে পড়েছেন মানুষ।
গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা থেকে আজ শুক্রবার সকাল ৯টা পর্যন্ত জেলায় ১০৭ মিলিমিটার বৃষ্টি রেকর্ড করা হয়েছে। আজ সকাল ১০টার দিকে এসব তথ্য জানান চাঁদপুর আবহাওয়া অফিসের উচ্চ পর্যবেক্ষক শাহ মুহাম্মদ শোয়েব।
এদিকে টানা দুদিনের ভারী বৃষ্টির কারণে চাঁদপুর শহরের বেশ কয়েকটি সড়ক পানিতে তলিয়ে গেছে। বিশেষ করে আবাসিক এলাকার সড়কগুলোর অবস্থা বেহাল।
সরেজমিন দেখা গেছে, শহরের নাজিরপাড়া, মাদ্রাসা রোড, পালপাড়া, নিউ ট্রাক রোড, রহমতপুর আবাসিক এলাকায় টানা বৃষ্টিপাতে সড়কে পানি জমে আছে। বৃষ্টি কমলে পানি কিছুটা হ্রাস পায়। আবার বৃষ্টি হলে একই অবস্থা।
আজ সকাল ১০টা থেকে বেলা ১১টার পর নিত্যপণ্যের দোকানগুলো খুলতে দেখা গেছে। প্রয়োজন ছাড়া লোকজন বাসা থেকে বের হচ্ছে না। বৃষ্টির কারণে দিনমজুর ও শ্রমিকদেরও কাজ বন্ধ হয়ে আছে।
শহরের মাদ্রাসা রোডের বাসিন্দা মিজানুর রহমান বলেন, ‘গতকাল বৃহস্পতিবার থেকে আমাদের সড়কে পানি। এখন পর্যন্ত একই অবস্থা। একটু পানি কমলেও বৃষ্টিতে আবারও একই পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। মসজিদ ও বাসা বাড়িতেও পানি উঠে গেছে। পানি গড়িয়ে নামলেও কমছে না। বর্ষা মৌসুমের কারণে আবার নদীতেও এখন পানি ভরপুর।’
শহরের রহমতপুর আবাসিক এলাকার বাসিন্দা ফরিদ আহমেদ বাবু বলেন, ‘টানা বৃষ্টিতে আমাদের এলাকার সড়ক ডুবে যায়। তবে সকালে কিছুটা পানি কমেছে।’
সদর উপজেলার রামপুর এলাকার বাসিন্দা ছিদ্দিকুর রহমান বলেন, ‘আমাদের এলাকায় সড়কে পানি ওঠেনি। কারণ ডাকাতিয়া নদী পাশে থাকায় পানি নেমে যায়। তবে বৃষ্টির কারণে লোকজন ঘর থেকে বের হতে পারছে না।’
চাঁদপুর লঞ্চঘাটের দায়িত্বরত ট্র্যাফিক পরিদর্শক (টিআই) মো. শাহ্ আলম জানান, টানা বৃষ্টি হচ্ছে। তবে চাঁদপুর-ঢাকা নৌ পথের সব ধরনের লঞ্চ চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে।