কক্সবাজারের উখিয়ার রোহিঙ্গা ক্যাম্পে কর্মরত এপিবিএন পুলিশ সদস্যদের কাছে স্থানীয় দুই সংবাদকর্মী লাঞ্ছিত হওয়ার ঘটনায় ৩ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে ১৪ আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন (এপিবিএন)।
সোমবার (৪ এপ্রিল) দিবাগত রাতে বিষয়টি নিশ্চিত করে কমিটি ৭ দিনের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দেবে বলে জানিয়েছেন ১৪ এপিবিএনের অধিনায়ক নাঈমুল হক।
বিষয়টিকে অনাকাঙ্ক্ষিত উল্লেখ করে সাংবাদিকদের ন্যায্য দাবির প্রতি শ্রদ্ধাশীল বলে উল্লেখ করেছেন নাঈমুল হক।
এর আগে রোববার (৩ এপ্রিল) রোহিঙ্গা ক্যাম্পের মুচরা বাজার ইরানি পাহাড় পুলিশ ক্যাম্প এলাকায় দায়িত্ব পালনকালে স্থানীয় সংবাদমাধ্যম দি টেরিটোরিয়্যাল নিউজের (টিটিএন) প্রধান প্রতিবেদক আজিম নিহাদ ও ক্যামেরাপারসন লোকমান হাকিমের সঙ্গে অশালীন আচরণ করে এপিবিএনের সদস্যরা।
ভুক্তভোগী নিহাদ বলেন, ‘শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার কর্তৃক প্রদেয় অনুমতি পত্র দেখালেও এপিবিএনের দায়িত্বরত কনস্টেবল মতিন ও এসআই সজিব ক্ষিপ্ত হয়ে যায়। পরে আমাদের সহকারী পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে নিয়ে গিয়ে সেখানেও আরেক দফা নাজেহাল করা হয়।’
সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ ও প্রশাসনের উচ্চপর্যায়ের হস্তক্ষেপে প্রায় দুই ঘণ্টা পর এপিবিএন কার্যালয় থেকে তারা কক্সবাজার ফিরে আসতে সক্ষম হন বলে জানান নিহাদ।
এদিকে এ ঘটনায় নিন্দার ঝড় ওঠে। রিপোর্টার্স ইউনিটি কক্সবাজার নামে সাংবাদিকদের স্থানীয় একটি সংগঠন ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে অভিযুক্ত পুলিশ সদস্যদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে দাবি জানায়।
এ প্রসঙ্গে রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি এইচ এম নজরুল ইসলাম বলেন, ‘অনতিবিলম্বে অভিযুক্ত দুই পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে হবে এবং এই ঘটনার জন্য ক্ষমা চাইতে হবে।’
দাবি মানা না হলে এপিবিএনের সংবাদ বর্জনসহ কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দেয় সংগঠনটি।