চট্টগ্রামের নিউমার্কেট মোড়ে অবস্থান নেওয়া আন্দোলনকারীদের সঙ্গে আওয়ামী লীগ ও পুলিশের সংঘর্ষ হয়েছে। তাতে আহত হয়েছেন ১৬ জন। তাঁদের বেশির ভাগই গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। তাঁদের চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
আজ রোববার সকাল থেকে নিউমার্কেটে মোড়ে অবস্থান নেন আন্দোলনকারীরা। তাঁদের সঙ্গে স্থানীয়দের যোগ দিতে দেখা গেছে। ঘটনাস্থলে থাকা আওয়ামী লীগের মাইক ভাঙচুর করেন আন্দোলনকারীরা। একপর্যায়ে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে পুলিশ টিয়ার শেল নিক্ষেপ করে। অন্যদিকে ছাত্রলীগের এক নেতাকে গুলি ছুড়তে দেখা যায়। তিনি সরকারি সিটি কলেজ ছাত্রলীগের নেতা মো. ফয়সাল। তিনি রিভলবার থেকে গুলি ছোড়েন।
তাতে অনেকে গুলিবিদ্ধ হন। তাঁরা চমেকের ক্যাজুয়ালটি ওয়ার্ডে ভর্তি আছেন। তাঁরা হলেন আলাউদ্দিন (২৬), সোহরাব হোসেন (২২), ফয়সাল (২৫), আশরাফুল (৩০), জাহাঙ্গীর (২৬), সৌরভ (২২), মনির (২২), চিশতী (২৮), তাহমিন (১৯), শান্ত ইসলাম (২২), মাঈনউদ্দিন (২৪), কাওছার হোসেন (২৪), মো. শাহিন (২৬), মো. আদিল (২২), রিদোয়ান (২৪) ও মো. শাহীন (২৫)। তাঁদের বেশির ভাগই গুলিবিদ্ধ। তবে ঠিক কতজন গুলিবিদ্ধ, তা জানাতে পারেনি চমেক কর্তৃপক্ষ। তবে শরীরের বিভিন্ন জায়গায় গুলিবিদ্ধ বলে চমেক সূত্রে জানা গেছে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, আজ সকাল ৯টা থেকে জড়ো হতে থাকেন আন্দোলনকারীরা। এর আগে একই জায়গায় সমাবেশের ডাক দেয় আওয়ামী লীগ। এ উপলক্ষে নিউমার্কেটের আশপাশে মাইক লাগান আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা। সেগুলো ভাঙচুর করে জড়ো হতে থাকেন আন্দোলনকারীরা। আজ বেলা ১১টা পর্যন্ত নিউমার্কেট মোড়ে অবস্থান নিয়ে সরকারপতনের আন্দোলন করতে দেখা গেছে বিক্ষোভকারীদের।
এর আগে গতকাল শনিবার দুপুর থেকে কোতোয়ালি থানার নিউমার্কেট মোড় দখলে নিয়ে আন্দোলনকারীরা বিভিন্ন স্লোগান দেন। সেখানে হাজার হাজার আন্দোলনকারী অংশ নিয়েছিলেন। শিক্ষার্থীদের সঙ্গে যোগ দেন সাধারণ মানুষ ও বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মীরা।