জাহাজ থেকে নেমেই দৌড়ে জড়িয়ে ধরেন দুই মেয়েকে। দুই হাতে দুজনকে কোলে নিয়ে শুরু হয় বাবার জমানো আদর। চোখে অশ্রু, মুখে মুক্তির আনন্দ। আদর করতে করতে দুই মেয়েকে বাবা বললেন, ‘মা আমি কতই যে সৌভাগ্যবান। তোমাদের জন্যই যে বেঁচে ফিরলাম।’
এমভি আবদুল্লাহর প্রধান কর্মকর্তা মো. আতিক উল্লাহ খানের চোখে যেন আনন্দের জল। আজ মঙ্গলবার বিকেল ৪টায় ২৩ নাবিক যখন বন্দর জেটিতে ভিড়েন, কয়েক হাজার উৎসুক জনতার ভিড়। শুধু তাঁদের এক নজর দেখার অপেক্ষায়।
এর আগে বেলা ১১টা ৪০ মিনিটে কুতুবদিয়া থেকে চট্টগ্রাম বন্দরের উদ্দেশে ২৩ নাবিক নিয়ে রওনা দেয় এমভি জাহান মনি-৩। বিকেল ৪টায় অবসান হয় অপেক্ষার। হালকা লাল রঙের জাহাজটিতে দেখে বন্দর জেটিতে খুশির রোল পড়ে। দূর থেকে হাত নেড়ে নাবিকেরা জানান দেন, বন্দী জীবন থেকে মুক্ত জীবনে তাঁরা। তাঁদের যেন অভিবাদন জানায় নদীও। গোমড়া মুখে থাকা কর্ণফুলী খরস্রোতা নদীতে মৃদু বাতাস বইতে শুরু করে।
তিনি এ সময় সাংবাদিকদের বলেন, ‘দেশে ফিরতে ফিরেছি, এর জন্য শোকরিয়া। সরকার ও মালিকপক্ষকে ধন্যবাদ।’