নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম
চট্টগ্রামেও মেট্রোরেল হবে বলে জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, চট্টগ্রাম দেশের বাণিজ্যিক রাজধানী, চট্টগ্রাম গ্রিন সিটি ও বন্দরনগরী। সেই বিবেচনায় প্রধানমন্ত্রী চট্টগ্রামে মেট্রোরেল করার পরিকল্পনা নিয়েছেন। আজ মঙ্গলবার সকালে চট্টগ্রামের রেডিসন ব্লু হোটেলে চট্টগ্রামে মেট্রোরেল প্রকল্পের সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত হয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ঢাকা ও চট্টগ্রামে মেট্রোরেলের অগ্রগতি হিসেবে ঢাকার আগারগাঁও পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উদ্বোধন করেন। ঢাকায় একটি মাল্টি লাইন পাতাল রেল ২১ কিলোমিটার নির্মিত হচ্ছে। এই পাতালরেলে ব্যয় হবে ৫২ হাজার কোটি টাকা। এর মধ্যে ৪০ হাজার কোটি টাকা দেবে জাপানের জাইকা। বাকি টাকা বাংলাদেশ সরকার বহন করবে। ঢাকা সিটিতে আরও ছয়টি মেট্রোরেল ২০৩০ সালের মধ্যে সম্পন্ন হবে বলে জানান ওবায়দুল কাদের।
কাদের বলেন, সামন্য উত্তরা থেকে আগারগাঁও মেট্রোরেল চালু হওয়ার পর যে ঠাসাঠাসি; বৃদ্ধ-বৃদ্ধা, তরুণ-তরুণীসহ সব বয়সী মানুষ মেট্রোরেলে চড়ার জন্য ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করছে। সেই মেট্রোরেলের আকর্ষণ চট্টগ্রামেও নিশ্চয়ই হবে।
চট্টগ্রামের মেট্রোরেল প্রকল্পের ব্যবস্থাপক টনি ইলহো জং বলেন, ‘আমরা চট্টগ্রামে মেট্রোরেল, পাতালরেল করার লক্ষ্যে সম্ভাব্যতা যাচাই করব। উড়ন্ত মেট্রোরেল হবে কি না, তা-ও যাচাই করা হবে। তবে প্রধান লক্ষ্য পাতালরেলের সম্ভাব্যতা যাচাই। এই সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের কাজে দুই থেকে তিন বছর সময় লাগতে পারে।’
টনি ইলহো জং বলেন, ‘আমরা এমনভাবে সম্ভাব্যতা যাচাই করতে চাই, যাতে সাকসেস হই। মেট্রোরেল হলে চট্টগ্রামের চেহারাও পাল্টে যাবে। পরিবহনের ওপর চাপ কমবে। মানুষের সময় বাঁচবে। এতে চট্টগ্রামের অর্থনীতির ক্ষেত্রেও বিরাট ভূমিকা পালন করবে।’
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ, সিটি করপোরেশনের মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী, সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের সদস্য অধ্যাপক রওশন আরা মান্নান, দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত জি জং কিউন প্রমুখ।