কক্সবাজার জেলা শ্রমিক লীগের সভাপতি জহিরুল ইসলাম সিকদার (৫৩) মারা গেছেন। আজ রোববার দুপুর পৌনে ১টার দিকে তিনি চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।
গত শুক্রবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে শহরের অদূরে লিংক রোড এলাকায় নিজ অফিসে গুলিবিদ্ধ হন জহিরুল ইসলাম। এ সময় তাঁর ছোট ভাই ঝিলংজা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ইউপি সদস্য কুদরত উল্লাহ সিকদারও (৪৫) গুলিবিদ্ধ হন।
এদিকে জহিরুলের মৃত্যুর খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়ার পর চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের লিংক রোড স্টেশনে বিক্ষোভ শুরু করেছেন নেতাকর্মীরা। কয়েকটি যানবাহনও ভাঙচুর করা হয়েছে।
জহিরুল ইসলামের ভাগিনা সাইফুদ্দিন মাহমুদ মামুন আজকের পত্রিকা জানান, গতকাল অস্ত্রোপচারের পর জহিরুলকে আইসিইউতে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা গেছেন।
কক্সবাজার সদর মডেল থানার ওসি শেখ মুনীর উল গিয়াস শ্রমিক লীগ নেতার মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, এ ঘটনায় এখনো কোনো মামলা হয়নি। পুলিশ ঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রেখেছে।
জেলা শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক শফি উল্লাহ আনসারি অভিযোগ করেছেন, আগামী ১১ নভেম্বর অনুষ্ঠেয় ইউপি নির্বাচনে সদস্য পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন কুদরত উল্লাহ সিকদার। নির্বাচনে তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী লিয়াকতের লোকজন এ ঘটনা ঘটিয়েছে।