ফেনীর সোনাগাজীতে মোকসুদ আলম বিপ্লব (৩৬) নামে এক যুবলীগ কর্মীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ বুধবার উপজেলার সদর ইউনিয়নের সুজাপুর গ্রামের নিজ বাড়ি থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। বিপ্লব সুজাপুর গ্রামের প্রবাসী নুরুল হক খোকার ছেলে। তিনি ওই ইউনিয়নের সুজাপুর গ্রামের চুনি মাঝি বাড়ির বাসিন্দা।
সোনাগাজী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ খালেদ হোসেন লাশ উদ্ধারের ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘লাশ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। সুরতহালে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, এটি আত্মহত্যা হতে পারেন।’
জানা গেছে, ঘটনার দিন বিপ্লবের স্ত্রী আকলিমা আক্তার (২৬) ছিলেন বাবার বাড়ি এবং মা আনোয়ারা বেগম ঢাকায় ছিলেন। বাড়িতে একা ছিলেন বিপ্লব। আনুমানিক ১২টার সময় বাড়ির লোকজন জানালা দিয়ে তাঁর ঝুলন্ত লাশ দেখতে পেয়ে পরিবারের সদস্য ও পুলিশকে খবর দেন। লাশটি ঘরের আড়ার সঙ্গে ওড়না পেঁচিয়ে ঝুলতে দেখা যায়। তবে হাঁটুগুলো মাটির সঙ্গে লাগানো ছিল।
খবর পেয়ে থানায় বিপ্লবের লাশ দেখতে এসে কান্নাজড়িত কণ্ঠে স্ত্রী আকলিমা আক্তার (২৬) আজকের পত্রিকা বলেন, ‘আমার স্বামী মরে নাই। তাকে হত্যা করা হয়েছে। তাকে মামলা দিয়ে সব সময়ই হয়রানি করেছে রফিক ও নাজিম। তাদের মামলা থেকে জামিন পাওয়ার পরের দিন আমার স্বামীকে মেরে ফেলেছে। তাদের শাস্তি চাই।’
এদিকে যুবলীগের কর্মী বিপ্লবের মৃত্যু নিয়ে চলছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া। উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মীরা সোশ্যাল মিডিয়ায় রাজনৈতিক অবহেলায় ‘আত্মহত্যা’, আবার কেউ ‘হত্যাকাণ্ড’ বলে মন্তব্য করছেন।
উপজেলা যুবলীগের সভাপতি আজিজুল হক হিরন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বিপ্লব যুবলীগের একজন সক্রিয় কর্মী। তাঁর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের পর জানা যাবে তাঁর মৃত্যুর কারণ।’
উল্লেখ্য, এর আগে মামলা দিয়ে হয়রানি করার অভিযোগ এনে মোকসুদ আলম বিপ্লব নিজের ফেসবুক আইডিতে এক ভিডিও বার্তায় তার মৃত্যুর জন্য স্থানীয় কয়েকজনে দায়ী করেন।