ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগর উপজেলার বিষ্ণুপুর সীমান্ত থেকে মণিকা রায় (৫৬) নামের এক ভারতীয় নাগরিককে আটক করেছে বিজিবি। গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে বিজিবির হাতে আটক ওই নারী বাংলাদেশের নোয়াখালীর হাতিয়ায় মেয়ের বাড়িতে চার মাস বেড়ানো শেষে ফিরে যাচ্ছিলেন। এদিকে মানব পাচারের অভিযোগে জেলার কসবায় বিপ্লব চক্রবর্তী (৩৫) নামের এক ব্যক্তিকে আটক করেছে বিজিবি সদস্যরা।
২৫ বিজিবি অধিনায়ক কর্নেল ফারাহ মোহাম্মদ ইমতিয়াজ বলেন, মণিকা রায় ভারতের পূর্ব বর্ধমান জেলার পারুলিয়া গ্রামের প্রেমলাল রায়ের স্ত্রী। জিজ্ঞাসাবাদে তিনি জানান, চার মাস আগে ফেনী সীমান্ত দিয়ে অবৈধভাবে ভারত থেকে বাংলাদেশে নোয়াখালীর হাতিয়ায় মেয়ের বাড়িতে আসেন তিনি। গতকাল মঙ্গলবার ট্রেনযোগে আখাউড়া রেলস্টেশনে ৫ হাজার টাকার বিনিময়ে দুই বাংলাদেশি মানব পাচারকারীর সহযোগিতায় পূর্ব কালাছড়া নামক এলাকা দিয়ে অবৈধভাবে ভারতে যাওয়ার চেষ্টা করছিলেন।
ফারাহ মোহাম্মদ ইমতিয়াজ আরও বলেন, এ সময় মণিকার কাছ থেকে একটি ভারতীয় আধার কার্ড, ৫৩৫ রুপি, বাংলাদেশি ৬০০ টাকা, একটি সোনার চেইন, এক জোড়া সোনার কানের দুল, দুটি সোনার আংটি ও একটি কাপড়ের ব্যাগ জব্দ করা হয়। তাঁকে বিজয়নগর থানায় সোপর্দ করা হয়েছে।
এদিকে বিজিবি ৬০ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল এ এম জাবের বিন জব্বার বলেন, বাংলাদেশি মানব পাচারকারী বিপ্লব চক্রবর্তীকে আটক করা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে কসবা বিওপির টহল দল সীমান্ত এলাকায় টহল দেওয়ার সময় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সীমান্তে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে হাফপুর নামক স্থান থেকে তাঁকে আটক করা হয়।
জাবের বিন জব্বার আরও বলেন, জিজ্ঞাসাবাদে বিপ্লব চক্রবর্তী জানান, দুই-তিনজন বাংলাদেশি নাগরিককে বাংলাদেশ থেকে ভারতে অবৈধভাবে যেতে সহায়তা করার জন্য যাচ্ছিলেন তিনি। তাঁকে কসবা থানায় সোপর্দ করা হয়েছে।