হোম > সারা দেশ > চট্টগ্রাম

ভারতের সঙ্গে বাণিজ্যে লাভ-ক্ষতি নিরূপণের পর রামগড় স্থলবন্দর চালু: উপদেষ্টা সাখাওয়াত

রামগড় (খাগড়াছড়ি) প্রতিনিধি  

আপডেট: ১২ জানুয়ারি ২০২৫, ১৯: ১৫
রামগড় স্থলবন্দর পরিদর্শন করেছেন নৌপরিবহন উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন। ছবি: আজকের পত্রিকা

নৌপরিবহন উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন বলেছেন, রামগড় স্থলবন্দর থেকে বাংলাদেশ কতটা লাভবান হবে তা দেখার বিষয় রয়েছে। এ জন্য স্থলবন্দরের লাভ-ক্ষতি খতিয়ে দেখে করণীয় নিরূপণে একটি কমিটি গঠন হবে। কমিটিই সিদ্ধান্ত নেবে রামগড় স্থলবন্দর কবে চালু হবে।

আজ রোববার (১২ জানুয়ারি) রামগড় স্থলবন্দর পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

এম সাখাওয়াত হোসেন বলেন, ‘চট্টগ্রাম বন্দর থেকে পণ্য নিয়ে রামগড় স্থলবন্দর হয়ে ভারতের সেভেন সিস্টার্স রাজ্যে পণ্য বহনের জন্য মূলত নির্মিত হয়েছে রামগড় স্থলবন্দর। এই বন্দর ব্যবহার করে কীভাবে বাংলাদেশ লাভবান হতে পারে এবং কী ধরনের পণ্য আমদানি-রপ্তানি করা যেতে পারে তা নির্ধারণে একটি বিশেষ কমিটি গঠন করা হবে। এ কমিটি রামগড় বন্দরের সম্ভাব্য কার্যক্রম, যাত্রী পারাপারের সুযোগ এবং উন্নয়নমূলক কাজের অগ্রগতিও পর্যালোচনা করবে।’

এম সাখাওয়াত হোসেন আরও বলেন, ‘রামগড় স্থলবন্দর কবে চালু হবে এবং এর পরবর্তী কার্যক্রম কী হবে তা কমিটির সিদ্ধান্ত মোতাবেক গ্রহণ করা হবে।’

রামগড় স্থলবন্দর পরিদর্শনে স্থলবন্দর কতৃপক্ষের চেয়ারম্যান মো. মানজারুল মান্নান, গুইমারা সেক্টর কমান্ডার কর্নেল এস এম আবুল এহসান, খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসক মো. সহিদুজ্জামান, পুলিশ সুপার আরেফিন জুয়েল উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ্য, ২০০৮ সালে আওয়ামী লীগ সরকারের সময় রামগড় ও টেগামুখ স্থলবন্দর স্থাপনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। টেগামুখ প্রকল্পটি থমকে থাকলেও রামগড় বন্দরের উন্নয়ন দ্রুতগতিতে চলছে। ইতিমধ্যে ফেনী নদীর ওপর বাংলাদেশ-ভারত মৈত্রী সেতু, প্যাসেঞ্জার টার্মিনাল, ইমিগ্রেশন ভবন, এবং ওজন স্কেল নির্মাণ সম্পন্ন হয়েছে।

তবে সামাজিক মাধ্যমে এ প্রকল্পের সমালোচনা চলছে। সমালোচকদের দাবি, এ বন্দরের নির্মাণে বাংলাদেশের স্বার্থ রক্ষিত হয়নি। এর মধ্যেই আজ রোববার নৌপরিবহন উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সাখাওয়াত হোসেন রামগড় স্থলবন্দর পরিদর্শনে আসেন।

২০১৮ সালে চট্টগ্রাম ও মোংলা বন্দরকে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলোর পণ্য পরিবহনের ট্রানজিট পয়েন্ট হিসেবে ব্যবহারের চুক্তি সই হয়। এই চুক্তির আওতায় রামগড় বন্দরের অন্তর্ভুক্তিও ছিল। ইতিমধ্যে রামগড় থেকে বারৈয়ারহাট পর্যন্ত ৩৮ কিলোমিটার রাস্তার সম্প্রসারণ কাজ এবং ইমিগ্রেশন ও চেকপোস্টের অস্থায়ী কাঠামো নির্মাণ দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলছে। তবে গত বছরের ১৪ আগস্ট ইমিগ্রেশন প্রক্রিয়া চালু হওয়ার কথা থাকলেও তা আর বাস্তবায়িত হয়নি।

নাগিনে শেষ ছোবল বিএনপি নেতাদের

হাতাহাতির পর চট্টগ্রামে বৈষম্যবিরোধীদের পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি

পরীক্ষা শেষে কুবি ছাত্রলীগ নেতাকে গণপিটুনি, ‘মব জাস্টিস’ বললেন প্রক্টর

সেকশন