ফেনীতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক দাবি করা ওমর ফারুক শুভকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। প্রতারণা, চাঁদাবাজি ও মানহানির অভিযোগে করা মামলায় গতকাল মঙ্গলবার রাতে ফেনী শহরের মডেল থানা এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার ওমর ফারুক শুভ ফেনীর সদর উপজেলার ফরহাদনগর ইউনিয়নের জগতজীবনপুর গ্রামের বাসিন্দা। শৃঙ্খলাবিরোধী কার্যক্রমে জড়িত থাকায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ফেনী জেলার সহসমন্বয়ক পদ থেকে গত আগস্টে তাঁকে বহিষ্কার করা হয়। তার পরও কয়েক মাস ধরে জেলার অন্য সমন্বয়ক ও ছাত্র প্রতিনিধিদের সঙ্গে ‘সমন্বয়ক’ পরিচয় দিয়েই শুভকে বিভিন্ন কর্মসূচি ও সভা-সমাবেশে অংশ নিতে দেখা গেছে।
সম্প্রতি ফেনী আলিয়া কামিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাওলানা মাহমুদুল হাসানকে স্বপদে বহাল করার আশ্বাস দিয়ে চাঁদা দাবি করেন শুভ। গতকাল মঙ্গলবার চাঁদা দাবির ১৫ মিনিট ১২ সেকেন্ডের একটি কল রেকর্ড সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। এরপর থেকে জেলাজুড়ে নানা আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয়।
ওই কল রেকর্ডে শোনা যায়, ওমর ফারুক শুভ বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক আব্দুল কাদের ও হামজা মাহবুবের কথা বলে অধ্যক্ষ মাহমুদুল হাসানের কাছে ৩ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। যেখানে মধ্যস্থতাকারী হিসেবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফাইন্যান্স বিভাগের শিক্ষার্থী ফেনীর সন্তান আজিজুর রহমান রিজভীর নাম উল্লেখ করেন তিনি।
গতকাল মঙ্গলবার রাতে আজিজুর রহমান রিজভীর পক্ষে তাঁর বাবা ছিদ্দিকুর রহমান বাদী হয়ে ওমর ফারুক শুভকে আসামি করে ফেনী মডেল থানায় মামলা করেন। এ ব্যাপারে আজিজুর রহমান রিজভী বলেন, ‘কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক, তথ্য উপদেষ্টা ও আমার নাম ভাঙিয়ে সে (শুভ) চাঁদাবাজির চেষ্টা করেছে।
ন্যূনতম যোগাযোগ ও সংশ্লিষ্টতা না থাকা সত্ত্বেও তাঁর এমন কাণ্ড আমার জন্য সম্মানহানিকর। বিষয়টি অবগত হয়ে আমি ফেনী মডেল থানায় অভিযোগ করেছি। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানার একটি আশীর্বাদস্বরূপ। এই ব্যানারের ভাবমূর্তি নষ্ট হয় এমন কোনো কাজে কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ফেনী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মর্ম সিংহ ত্রিপুরা আজকের পত্রিকাকে বলেন, মামলা করার পর অভিযান চালিয়ে পুলিশ তাঁকে গ্রেপ্তার করেছে। আজ বুধবার তাঁকে আদালতে সোপর্দ করা হবে।