কক্সবাজার প্রতিনিধি
রোহিঙ্গারা আশ্রয় শিবিরে কঠিন সময় পার করছেন বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশে সফররত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেসম্যান এড কেইস ও রিপাবলিকান পার্টির রিচার্ড ম্যাকরমিক। তাঁরা রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন শেষে আজ সোমবার সাংবাদিকদের একথা জানান।
তারা বলেন, এক মিলিয়নেরও বেশি রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী, যাদের চাহিদা ও সমস্যা একই। এই রোহিঙ্গাদের দায়িত্ব বহন করার কথা মিয়ানমার সরকারের। তাদের সম্মানের সঙ্গে স্বদেশে ফিরিয়ে নেওয়ার দায়িত্বও মিয়ানমারের। বাংলাদেশের মতো জনবহুল রাষ্ট্রের পক্ষে এত বিপুলসংখ্যক রোহিঙ্গার ভার বহন করা কঠিন।
এর আগে দুপুরে ১১ সদস্যের প্রতিনিধি দল কক্সবাজারের উখিয়ায় রোহিঙ্গা আশ্রয় শিবির পরিদর্শন করেন। সেখান থেকে এসে বিকেলে তারা শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কার্যালয়ে সরকারি কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন।
মার্কিন কংগ্রেসম্যানরা বলেন, রোহিঙ্গাদের জনসংখ্যা দিন দিন বাড়ছে এবং রোহিঙ্গা সমস্যা হঠাৎ করেই সমাধান সম্ভব নয়। তাই তাদের আশা বাঁচিয়ে রাখার দায়িত্ব আমাদের। তাদের মৌলিক চাহিদা পূরণের পাশাপাশি শিক্ষাদানের মাধ্যমে দক্ষতা অর্জনে সহায়তা করতে হবে। এতেই তারা পরিবার চালাতে পারবে। এই কঠিন কাজটি বাস্তবায়ন করতে অন্যান্য দেশের পাশাপাশি বাংলাদেশ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে।
শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কার্যালয়ের অতিরিক্ত কমিশনার শামসুদ দৌজা নয়ন বলেন, সকাল ৯টায় কংগ্রেসের প্রতিনিধি দল কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের সমন্বয় সংস্থা ইন্টার সেক্টর কো-অর্ডিনেশন গ্রুপের অফিসে বিভিন্ন সংস্থার কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন। এতে জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থা ইউএনএইচসিআর, আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা আইওএমসহ বিভিন্ন সংস্থার কর্মকর্তারা অংশ নেন।
পরে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে কংগ্রেস প্রতিনিধি দল রোহিঙ্গা শরণার্থীশিবিরে পরিদর্শনে যায়। সেখানে প্রতিনিধি দল ১২ নম্বর ক্যাম্পে রোহিঙ্গাদের রেজিস্ট্রেশন কার্যক্রম, ১১ নম্বর ক্যাম্পে শরণার্থীদের লার্নিং সেন্টার ও জাতিসংঘের বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি পরিচালিত ই ভাউচার সেন্টার পরিদর্শন করেন। বিকেলে কক্সবাজার শহরে অবস্থিত শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন অফিসে সরকারি কর্মকর্তাদের বৈঠক করেন।
কংগ্রেস প্রতিনিধিদল কক্সবাজার সফরকালে রোহিঙ্গা শরণার্থী ক্যাম্প সফর করে রোহিঙ্গাদের আর্থিক অবস্থাসহ সামগ্রিক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করেন।