ফেনীর ফুলগাজী উপজেলার দুই বাসিন্দা মো. শাহাদাত হোসেন ও মো. ইয়াছিন সীতাকুণ্ডের বিএম কনটেইনার ডিপোতে চাকরিরত ছিলেন। গত শনিবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় মারা যান শাহাদাত হোসেন। কিন্তু আজ সোমবার পর্যন্ত নিখোঁজ রয়েছেন ইয়াছিন।
মৃত শাহাদাত হোসেন উপজেলার মুন্সীরহাট ইউনিয়নের মৃত দুলাল মজুমদারের ছেলে। তিনি ডিপোতে চিফ ইনচার্জ হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
নিখোঁজ ইয়াছিন উপজেলার ফুলগাজী সদর ইউনিয়নের গোসাইপুর গ্রামের খোকামিয়ার ছেলে।
জানা যায়, গত শনিবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে সীতাকুণ্ডের বিএম কনটেইনার ডিপোতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। এ সময় অগ্নিদগ্ধ হয়ে মারা যান শাহাদাত হোসেন। পরে গতকাল রোববার চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ময়নাতদন্ত শেষে মরদেহ তাঁর স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়। পরবর্তী সময়ে রাত ১২টার দিকে পারিবারিক কবরস্থানে মরদেহের দাফন সম্পূর্ণ করা হয়েছে।
শাহাদাতের পরিবারের সদস্যরা জানান, তাঁদের পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি ছিলেন তিনি। তিনি দুই ভাই ও এক বোনের মধ্যে বড়। মৃত্যুকালে তাঁর দুই মাস বয়সী এক কন্যা সন্তান রয়েছে।
অপরদিকে, ইয়াছিন অগ্নিকাণ্ডের সময় ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন। ওই সময় তাঁর পরিবারের লোকজনের সঙ্গে কথাও হয়েছিল তাঁর। কিন্তু কিছুক্ষণ পর থেকে তাঁকে আর খোঁজে পাওয়া যায়নি। তাঁর মোবাইলে বারবার কল দেওয়ার চেষ্টা করলেও বন্ধ পাওয়া যায়। পরে তাঁর পরিবারের লোকজন ঘটনাস্থল, চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও হাসপাতালের মর্গে খোঁজাখুঁজি করেন। কিন্তু আজও তাঁর কোনো সন্ধান পাওয়া যায়নি।
এ বিষয়ে ইয়াছিনের চাচাতো ভাই মো. নাহিদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা ইয়াছিনকে অনেক জায়গায় খোঁজাখুঁজি করেও এখন পর্যন্ত পাইনি। দুই দিন পার হয়ে গেল। এখন ইয়াছিন কোথায় আছে, কীভাবে আছে, বেঁচে আছে নাকি মরে গেছে কিছুই বুঝতে পারছি না।’