ফটিকছড়ির উত্তরে অবস্থিত রামগড় চা-বাগানের মাটি কেটে অবৈধভাবে কৃত্রিম হ্রদ তৈরির অভিযোগে শিল্পপতি নাদের খানের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। তিনি পেড্রোলো গ্রুপ এবং ফটিকছড়ির ‘রামগড় চা বাগান’ এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক।
গতকাল মঙ্গলবার রাতে ফটিকছড়ি উপজেলার নারায়ণহাট ইউনিয়ন ভূমি অফিসের সহকারী কর্মকর্তা আবু বক্কর বাদী হয়ে স্থানীয় ভুজপুর থানায় এ মামলা দায়ের করেছেন।
জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে প্রায় ৫০ একরের জমি খনন করে এই কৃত্রিম হ্রদে মৎস্য প্রকল্প গড়ে তোলা হয়েছে। শ্রমিকদের ভোগ দখলীয় জমি থেকে তাঁদের জোরপূর্বক উচ্ছেদ করে সেখানে এই মৎস্য প্রকল্প এবং নানা প্রজাতির নারকেল গাছ এবং সুপারি গাছের বাগান করা হয়েছে। যা চা বাগানের নীতিমালা বহির্ভূত।
এ নিয়ে গত সোমবার দৈনিক আজকের পত্রিকায় ‘রামগড় চা-বাগানে মাছ চাষ’ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশ হয়। এরপর প্রশাসন গত মঙ্গলবার ফটিকছড়ি উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) এটিএম কামরুল ইসলামের নেতৃত্বে তদন্তে আসে একটি দল। অভিযানে অভিযোগের সত্যতা পেয়ে ২০১০ সালের বালু মহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইনে চা বাগানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক নাদের খানের বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের হয়।
এদিকে সংবাদ প্রকাশের পর দৈনিক আজকের পত্রিকার এই প্রতিবেদক এবং স্থানীয় এক সাংবাদিকের নাম লিখে রামগড় চা বাগানের ১ নম্বর গেটে সাইনবোর্ড লাগানো হয়। পরে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক শ্রমিক জানান, বাগানের সিনিয়র ব্যবস্থাপক জয়নাল আবেদীনের নির্দেশে এই সাইনবোর্ড লাগানো হয়েছে। এবং তাঁদের মৌখিকভাবে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে মৎস্য প্রকল্পে সাংবাদিকেরা যেন প্রবেশ করতে না পারে।
এ নিয়ে জানতে রামগড় চা-বাগানের সিনিয়র ব্যবস্থাপক জয়নাল আবেদীনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি এই প্রতিবেদককে সংবাদ প্রকাশের জেরে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন এবং দেখে নেওয়ার হুমকি দেন।
মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে ভূজপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হেলাল উদ্দিন ফারুকী জানান, রামগড় চা-বাগানের ভেতর মাটি কেটে ও সরকারি জমির মাটি খনন করার অভিযোগে নাদের খানের বিরুদ্ধে একটি মামলা হয়েছে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে অভিযোগ তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।