নোয়াখালী প্রতিনিধি
আমার আমেরিকার ভিসা আছে। দলের প্রয়োজনে এবং দল যদি মনে করে আমি সাংবাদিক ডেকে এনে আমার ভিসা জ্বালিয়ে–পুড়িয়ে দেব।
এমন ঘোষণা দিয়েছেন কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবদুল কাদের মির্জা। তিনি নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার বসুরহাট পৌরসভার মেয়র এবং আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের ভাই।
যুক্তরাষ্ট্রের ভিসার প্রতি এই বিরাগের কারণ হিসেবে মির্জা কাদের বলেন, ‘কানাডার আদালতে স্বীকৃত সন্ত্রাসী দল বিএনপির জন্য বিবৃতি দেয় আমেরিকা। কিন্তু বিএনপির নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে তারা কোনো কথা বলে না। তাদের (আমেরিকা) একটাই নীতি— যারে দেখতে পারি না তার চলন বাঁকা।’ গতকাল বুধবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় নিজের ফেসবুক আইডি থেকে লাইভে এসে কাদের মির্জা এ কথা বলেন।
কাদের মির্জা বলেন, ‘বিএনপির আন্দোলন লোদে (কাদায়) আটকে গেছে। তারা ২৯ জুলাই আন্দোলনে ব্যর্থ হয়ে আবার অ-আ থেকে শুরু করেছে, ও-ঔ পর্যন্ত যেতে যেতে দেশে নির্বাচন হয়ে যাবে। তাদের নিয়ে চিন্তা করার কিছু আছে বলে আমি মনে করি না।’
প্রধানমন্ত্রীকে অনুরোধ করে কাদের মির্জা বলেন, ‘আগস্ট মাসে আট বিভাগীয় শহরে আপনার নেতৃত্বে ৮টি শোভাযাত্রার আয়োজন করেন। এতে মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষের সব শক্তিসহ সুশীল সমাজ বুদ্ধিজীবীরা অংশগ্রহণ করবে। যার প্রতিপাদ্য হবে “বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ”। এতে দলের ভিত আরও মজবুত হবে। সামনের নির্বাচনে দল হবে শক্তিশালী। কিছু কিছু মন্ত্রী-এমপি আছে যারা এলাকায় যান না। দলের তৃণমূলের সঙ্গে তাদের কোনো সম্পর্ক নেই। নিজের এলাকায় কত টাকার উন্নয়ন হয়েছে সেটাও জানেন না। তারা মনোনয়ন পেতে ঢাকায় ঘুরঘুর করছেন। এ ধরনের এমপিদের মনোনয়ন দেওয়া ঠিক হবে না।’
তিনি আরও বলেন, ‘অনেকে বিদেশ থেকে হঠাৎ করে এসে মনোনয়ন পান। যাদের সঙ্গে তৃণমূলের কোনো যোগাযোগ নেই। তাদের এভাবে মনোনয়ন না দিয়ে ১০টি আসন প্রবাসীদের জন্য সংরক্ষিত করার প্রস্তাব করছি। অন্যদিকে, যে আসনে যাকে পছন্দ তাকে এখনই সিগন্যাল দিতে প্রধানমন্ত্রীকে অনুরোধ করছি। যাতে এখন থেকে কাজ করতে সুবিধা হয়।’
এ ছাড়া নেতাদের কার্যক্রম তদারকি করার জন্য প্রত্যেক জেলায় এক বা দুইজন নেতাকে দায়িত্ব দেওয়ার অনুরোধ করেন কাদের মির্জা। যাদের প্রস্তাবের ভিত্তিতে সামনের নির্বাচনে চূড়ান্ত মনোনয়ন দিলে দল নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাবে বলেও মত প্রকাশ করেন এই আওয়ামী লীগ নেতা।