কমলনগর (লক্ষ্মীপুর) প্রতিনিধি
লক্ষ্মীপুরের কমলনগরে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ ভাতার টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে শিক্ষা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে। এইচপিভি টিকা দেওয়ার প্রশিক্ষণে অংশ নিলেও উপজেলার ৬৯টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক ভাতা পাননি বলে অভিযোগ রয়েছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, উপজেলায় গত ২২ অক্টোবর এই প্রশিক্ষণ হয়। পরদিন ২৩ অক্টোবর জরায়ুমুখে ক্যানসার প্রতিরোধে এইচপিভি টিকা দেওয়া হয়। টিকা দেওয়া শেষ হলেও প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) মো. জহিরুল ইসলাম প্রশিক্ষণের ভাতা দেননি বলে অভিযোগ করেছেন শিক্ষকেরা। তাঁরা জানান, উপজেলার অন্য প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকেরা ভাতা পেলেও প্রাথমিকের শিক্ষকেরা ভাতা পাননি। নাশতা ও যাতায়াত ভাতা বাবদ শিক্ষকদের ২০০ টাকা করে দেওয়ার কথা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন শিক্ষক বলেন, টিকাদান কার্যক্রমের প্রশিক্ষণে উপজেলার ৬৯টি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে একজন করে শিক্ষক উপস্থিত ছিলেন। প্রশিক্ষণ শেষে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে জানানো হয়, শিক্ষা কর্মকর্তার মাধ্যমে ভাতা পৌঁছে দেওয়া হবে।
ওই শিক্ষকেরা আরও বলেন, আমরা ভাতা বৈষম্যের শিকার। মাধ্যমিক বিদ্যালয়, দাখিল মাদ্রাসা, এবতেদায়ি মাদ্রাসা ও নুরানি মাদ্রাসার শিক্ষকেরা প্রশিক্ষণ শেষে ভাতা পান। অথচ আমরা সরকারি প্রতিষ্ঠান হয়েও কোনো ভাতা পাইনি। এখানে বৈষম্য করা হয়েছে।
পূর্ব মার্টিন শিশু নিকেতন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক পিংকি আক্তার বলেন, ‘প্রাথমিকের কেউ ভাতা পায়নি। আমিও পাইনি।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে শিক্ষা কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) জহিরুল ইসলাম বলেন, ‘আমার কাছে ভাতার টাকা আসেনি। আমি ভাতা আত্মসাতের সঙ্গে জড়িত নই।’
উপজেলা পরিবার ও পরিকল্পনা কর্মকর্তা আবু তাহের পাটোয়ারী বলেন, কিশোরীদের বিনা মূল্যের টিকাদান কার্যক্রমে প্রশিক্ষণার্থীদের নাশতা ও যাতায়াত ভাতা দেওয়া হয়েছে। প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের ভাতা শিক্ষা কর্মকর্তার কাছে হয়েছে। তিনি কেন শিক্ষকদের দেননি, তা জানা নেই।