খাগড়াছড়ির মানিকছড়ি উপজেলায় এবার কোরবানি হয়েছে দেড় হাজারের মতো পশু। তবে কোরবানির পশুর চামড়া কিনতে এবার কোনো ব্যাপারী না আসায় এসব চামড়ার বেশির ভাগ পুঁতে ফেলা হয়েছে। আর মাদ্রাসায় দান করা চামড়া ১৩০ থেকে ২০০ টাকা দরে কিনে নিয়েছেন মৌসুমি ক্রেতারা।
বিভিন্ন মাদ্রাসা ও কোরবানিদাতা সূত্রে জানা গেছে, উপজেলায় হাজার দেড়েক গরু, ছাগল কোরবানি করা হয়েছে এবার। এর মধ্যে শ পাঁচেক চামড়া মাদ্রাসায় দান করা হলেও সন্ধ্যা নাগাদ কোনো ব্যাপারী না পেয়ে মৌসুমি ব্যবসায়ীর কাছে ১৩০ থেকে ২০০ টাকা দরে বিক্রি করে পচন ঠেকিয়েছে মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ। আর অবশিষ্ট বেশির ভাগ চামড়া কিনতে বা সংগ্রহ করতে কেউ না যাওয়ায় তাঁরা মাটিতে পুঁতে ফেলেছেন।
উপজেলা সদরের দারুচ্ছুন্নাহ হাফেজিয়া মাদ্রাসা ও এতিমখানার পরিচালক মাওলানা নূর মোহাম্মদ বলেন, ‘গত বছরের মতো এবারও মাদ্রাসায় সংগৃহীত (দানকৃত) চামড়া নিয়ে চরম বেগ পেতে হয়েছে! সন্ধ্যা পর্যন্ত কোনো ব্যাপারী না আসায় জনৈক মৌসুমি ব্যবসায়ীকে ২০০ টাকা দরে ২০০ চামড়া বিক্রি করেছি।’
তিনটহরী মহিসুন্নাহ মাদ্রাসা ও এতিমখানার পরিচালক মাওলানা ফরিদ আহমেদ বলেন, কিনা বা অনুদান পাওয়া চামড়া নিয়ে ভোগান্তি পোহাতে হয়েছে। ১৩০ টাকা হারে দেড় শতাধিক চামড়া এলাকার এক ব্যক্তি কিনে শহরে নিয়ে গেছেন।
বাটনাতলী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি মো. আবদুর রহিম জানান, এলাকায় কোরবানি পশুর চামড়া কিনতে কেউ আসেনি। অনেকে মাদ্রাসায় চামড়া দিয়ে দিয়েছে।
উপজেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি ও অবসরপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মো. আতিউল ইসলাম বলেন, একসময়ের সোনালি আঁশ পাট ও চামড়ার কদর দিনে দিনে এভাবে কমে যাওয়ার কারণ বুঝে আসছে না। চামড়া ও পাটশিল্প বাঁচাতে সরকারকে উদ্যোগ নিতে হবে। এটা এখন সময়ের দাবি।