নোয়াখালী প্রতিনিধি
নোয়াখালীর ভাসানচর আশ্রয়ণ প্রকল্প থেকে হাত-পা বাঁধা ও রক্তাক্ত অবস্থায় সৈয়দুল ইসলাম (৩৩) নামের এক রোহিঙ্গা যুবককে উদ্ধার করে পুলিশ। পরে ভাসানচর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয় তাঁর। পূর্ব বিরোধের জেরে অন্য রোহিঙ্গারা তাঁকে কুপিয়ে ফেলে রাখে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ভাসানচর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হুমায়ুন কবির বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গতকাল শনিবার রাত ৩টার দিকে ভাসানচর আশ্রয়ণের ৫৫ নম্বর ক্লাস্টারের সি-১৬ নম্বর কক্ষের সিঁড়ির নিচ থেকে আহত অবস্থায় ওই যুবককে উদ্ধার করে পুলিশ। আজ রোববার ভোর সাড়ে ৫টার দিকে ভাসানচর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়। নিহত সৈয়দুল ইসলাম আশ্রয়ণের ৫৩ নম্বর ক্লাস্টারের এ-১ নম্বর কক্ষের ইমান হোসাইনের ছেলে।
পুলিশ সূত্রে আরও জানা যায়, ঈদুল আজহার দিন সৈয়দুল ইসলামের সঙ্গে অপর রোহিঙ্গা যুবক ইব্রাহিমের কথা-কাটাকাটি হয়। ঝগড়া চলার সময় ইব্রাহিম সৈয়দুলকে দেখে নেওয়ার হুমকি দেয়। শনিবার দিবাগত রাত ৩টার দিকে স্থানীয়ভাবে খবর পেয়ে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় আহত সৈয়দুলকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে পুলিশ।
ভাসানচর থানার ওসি হুমায়ুন কবির বলেন, নিহত যুবকের মাথায় ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপানো হয়েছে। এতে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে তাঁর মৃত্যু হয়। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, ইব্রাহিমের সঙ্গে বিরোধের জেরে এই হত্যাকাণ্ড ঘটেছে। মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। আসামিদের গ্রেপ্তারে ভাসানচরের বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালানো হচ্ছে।