হোম > সারা দেশ > চট্টগ্রাম

মেলায় ধাক্কাধাক্কির ঘটনাকে কেন্দ্র করে খুন হয় কিশোর ফাহিম

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম

চট্টগ্রামে পাহাড়তলীতে মেলায় ধাক্কাধাক্কি করার ঘটনাকে কেন্দ্র করে আকস্মিক উত্তেজনায় প্রতিপক্ষের ছুরিকাঘাতে খুন হন কিশোর শাহরিয়ার নাজিম জয় ওরফে ফাহিম (১৫)। আজ মঙ্গলবার সকাল ১১টায় দামপাড়ার চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ সিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব জানান পুলিশ।

এই ঘটনায় পুলিশ ছুরিকাঘাতকারী ১৪ বছরের এক কিশোরকে কিশোরগঞ্জ জেলা থেকে গ্রেপ্তার করেছে। সেই সঙ্গে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত ছুরিটি জব্দ করা হয়। 

গ্রেপ্তার কিশোর হলেন, কিশোরগঞ্জ জেলার নিকলী থানা শাহপুর গ্রামের মো. আলীর ছেলে সজল। সে চট্টগ্রাম নগরীতে পাহাড়তলী থানাধীন বারকোয়ার্টার এলাকায় থাকেন। 

সংবাদ সম্মেলনে সিএমপি উপকমিশনার (পশ্চিম) মো. আব্দুল ওয়ারিশ বলেন, প্রাথমিক তদন্তে জানা যায় স্থানীয়ভাবে আয়োজিত একটি মেলায় ধাক্কাধাক্কির মতো ছোট একটি ঘটনাকে কেন্দ্র করে মীমাংসার কথা বলে উভয় পক্ষই একটি জায়গায় জড়ো হয়। সেখানে দুই পক্ষের আকস্মিক উত্তেজনায় এই ছুরিকাঘাতে ঘটনা ঘটেছে। 

গত শুক্রবার (১৫ এপ্রিল) রাতে ফাহিম তাঁর বন্ধু অভির সঙ্গে হালিশহরে ঈদ বস্ত্র মেলাতে যায়। এ সময় অভির সঙ্গে কথা-কাটাকাটির একপর্যায়ে তাঁকে মারধর করেন অজ্ঞাতরা। তখন অভি ফোন করে তাঁর বন্ধুদের বিষয়টি জানালে ওই দিন রাত সাড়ে ১০টায় পাহাড়তলী থানাধীন ঈদগাঁও কাঁচা রাস্তার মোড়ে দুই পক্ষই মীমাংসার জন্য জড়ো হয়। প্রতিপক্ষের অন্তত ১০ / ১২ জন সেখানে উপস্থিত ছিল। 

উভয় পক্ষের কথাবার্তার একপর্যায়ে উত্তেজনা থেকে সজল ছুরি বের করে ফাহিম ও তাঁর বন্ধু জয়নাল আবেদীন ইমনকে ছুরিকাঘাত করে। গুরুতর আহত অবস্থায় পরে দু’জনকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ফাহিমকে মৃত ঘোষণা করেন। আহত অন্যজন বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। এ ঘটনায় গত রোববার (১৭ এপ্রিল) নিহত কিশোরের বাবা মো. জহির বাদী হয়ে পাহাড়তলী থানায় একটি মামলা করেন। 

গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে খবর পেয়ে গত সোমবার ভোরে পুলিশ সজলকে কিশোরগঞ্জ থেকে গ্রেপ্তার করে। পরে পাহাড়তলী থানাধীন সরাইপাড়া এলাকায় তাঁর বন্ধু রাজুর বাসা থেকে হত্যায় ব্যবহৃত ছুরিসহ মোট দুটি ছুরি জব্দ করা হয়।

আব্দুল ওয়ারিশ বলেন, এই ঘটনায় আসামি হিসেবে আটজনকে শনাক্ত করা হয়েছে। ঘটনার পর মো. মামুন নামে একজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। বাকিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। 

সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ডিসি আব্দুল ওয়ারিশ দাবি করেন, ‘এই হত্যাকাণ্ডের পেছনে কোনো বড় ভাইয়ের ইন্ধন বা কিশোর গ্যাঙের তৎপরতা কিংবা আধিপত্য বিস্তারের মতো ঘটনা প্রাথমিক তদন্তে পাওয়া যায়নি। আকস্মিক উত্তেজনা থেকে এই অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটেছে। কিন্তু এরপরও তিনি কিশোর গ্যাঙের ভয়াবহতা মারাত্মক হিসেবে উল্লেখ করে অভিভাবকের এই বিষয়ে সচেতন থাকার বিষয়ে পরামর্শ দেন।’ 

পাহাড়তলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘নিহত ফাহিম ৮ম শ্রেণি পর্যন্ত লেখাপড়া করেছিল। পরে বেশ কিছুদিন পড়ালেখা বন্ধ রাখে। সম্প্রতি তাঁকে ডবলমুরিং এলাকায় একটি মাদ্রাসায় ভর্তি করা হয়েছিল।’ 

সুবর্ণচরে কীটনাশক ও ভেজাল সার খালে ফেলে নষ্ট

চট্টগ্রাম রেঞ্জের সদস্যের সঙ্গে মতবিনিময় আনসার মহাপরিচালকের

রাউজানে বিএনপির দুই পক্ষে সংঘর্ষ, উপজেলা সভাপতিসহ আহত ১২

হাটহাজারীতে মহাসড়ক থেকে বৃদ্ধের ক্ষতবিক্ষত মরদেহ উদ্ধার

হাতিয়ায় আগুনে পুড়েছে ১৪ দোকান

দাউদকান্দিতে লরিচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ২ বন্ধু নিহত

ফেনীতে বিআরডিবির চেয়ারম্যান হলেন জামায়াত নেতা

খাজনার টাকা সরকারি কোষাগারে জমা না দিয়ে আত্মসাৎ, সার্ভেয়ারকে পুলিশে সোপর্দ

লক্ষ্মীপুরে খেলার সময় বিদ্যুতায়িত হয়ে ২ স্কুলছাত্রী আহত

চট্টগ্রামে সাবেক এমপি নদভী চার দিনের রিমান্ডে

সেকশন