কুতুবদিয়া (কক্সবাজার) প্রতিনিধি
সালিসে না আসায় কক্সবাজারের কুতুবদিয়ায় আইনজীবীর সহকারীকে তুলে নিয়ে মারধরের অভিযোগ উঠেছে উত্তর ধূরুং ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান আবদুল হালিমের বিরুদ্ধে। পরে জাতীয় জরুরি নম্বর ৯৯৯ এ কল পেয়ে পুলিশ গিয়ে তাকে উদ্ধার করে।
ঘটনাটি ঘটে গতকাল মঙ্গলবার উত্তর ধুরুং ইউনিয়ন পরিষদের সামনে।
ভুক্তভোগী মো. হোসাইন আলী (৩৯) ওই ইউনিয়নের বাসিন্দা, তিনি কুতুবদিয়া জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের আইনজীবী সহকারী হিসেবে কর্মরত আছেন।
জানা গেছে, উপজেলার উত্তর ধুরুং আজিম উদ্দিন সিকদার পাড়ার জনৈক শফিউল আলমের জমির বিরোধ নিয়ে চাচাতো ভাই আদালতের আইনজীবী সহকারী মো. হোছাইনসহ তার পাঁচ ভাইয়ের বিরুদ্ধে ইউনিয়ন পরিষদে একটি অভিযোগ দেন।
এ নিয়ে পরিষদ থেকে কয়েকবার নোটিশ দেওয়া হলেও বিবাদীরা কেউই হাজির হননি। একপর্যায়ে ইউপি চেয়ারম্যান একতরফাভাবে বাদীর পক্ষে একটা মতামত দেন। এটি নিয়ে বাদী পক্ষ গত ৫ জুন ইউএনও এর কাছে অভিযোগ দিলে তিনি প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে উত্তর ধুরুং ইউপি চেয়ারম্যানকে দায়িত্ব দেন।
এ বিষয়ে মো. হোছাইন জানান, তিনি মঙ্গলবার সকালে বাড়ি থেকে টমটম যোগে আদালতে যাচ্ছিলেন। উত্তর ধুরুং ইউনিয়ন পরিষদের সামনে আজম রোডে ৭ / ৮ জন গ্রাম পুলিশ গাড়ি থামিয়ে ফিল্মি স্টাইলে তাকে তুলে নিয়ে হলরুমে বেঁধে রাখে। এ সময় চেয়ারম্যান তাকে মারধর করেন।
পরে তার পরিবারের পক্ষ থেকে ৯৯৯ এ কল করা হয়। একই সঙ্গে আইনজীবী অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি অ্যাডভোকেট ফিরোজ আহমদ থানায় ফোন করলে পুলিশ গিয়ে তাকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে।
স্থানীয় বাসিন্দা অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ সাইফুল্লাহ খালেদ জানান, সকালে জানালা দিয়ে তাঁকে ডাকেন ওই আইনজীবী সহকারী। কিন্তু ইউপি চেয়ারম্যান হলরুমে প্রবেশে বাধা দেন। জানালা দিয়ে কথা বলতে বলেন। একপর্যায়ে রুমে ঢোকার অনুমতি দিলেও মোবাইল রেখে যেতে বাধ্য করেন চেয়ারম্যান।
অভিযুক্ত ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল হালিম সিকদার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘জমির বিরোধের অভিযোগে কয়েকটা নোটিশ দিলেও আইনকে অবজ্ঞা করে নানা ধরনের গালিগালাজ করেছেন আইনজীবী সহকারী। বেঁধে রাখা হয়নি, হলরুমে আটকে রাখা হয় তাকে।’ তার ওপর চড়াও হননি বলে জানান তিনি।
কুতুবদিয়ায় থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ গোলাম কবীর বলেন, ‘উত্তর ধুরুং ইউনিয়ন পরিষদে মো. হোছাইন নামে এক আইনজীবী সহকারীকে আটকে রাখার খবর পেয়ে তাকে উদ্ধার করে একই সঙ্গে চেয়ারম্যানকেও থানায় এনে উভয়কে চিকিৎসার জন্য বলা হয়েছে।’ অভিযোগ পেয়েছি, তদন্তের মাধ্যমে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।