নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জের পর এবার সোনাইমুড়ীতে সুন্নতে খতনা করার সময় এক শিশুর পুরুষাঙ্গের সামনের অংশ কেটে ফেলার ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত হাজামকে (খতনাকারি) আটক করে পুলিশে দিয়েছে স্থানীয়রা।
আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় পুরুষাঙ্গের কাটা অংশসহ শিশুটিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এর আগে বিকেলে উপজেলার নদনা ইউনিয়নে এ ঘটনা ঘটেছে।
আটক হওয়া খতনাকারির নাম—মামুন (৩৫)। তিনি জেলার সুবর্ণচর উপজেলার বাসিন্দা।
শিশুটির পরিবার বলছে, সোনাইমুড়ীর বিভিন্ন স্থানে হেঁটে হেঁটে শিশুদের সুন্নতে খতনা করতেন মামুন। আজ (বৃহস্পতিবার) বিকেলে শিশু শাহাদাতকে খতনা করানোর জন্য মামুনকে খবর দেওয়া হয়। পরে ওই বাড়িতে এসে ক্ষুর দিয়ে শিশুটির খতনার কাজ শুরু করেন মামুন। এ সময় শিশু শাহাদাতের পুরুষাঙ্গের সামনের (মাথা) অংশ কেটে মাটিতে ফেলে দেন তিনি। এ সময় শাহাদাতের প্রচুর রক্তক্ষরণ হতে থাকে।
পরে স্থানীয় লোকজন গুরুতর আহত অবস্থায় পুরুষাঙ্গের মাথার কাটা অংশসহ শাহাদাতকে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যায় এবং মামুনকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে।
এ বিষয়ে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক তানভীর হায়দার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘হাজাম দিয়ে খতনা করতে গিয়ে ওই শিশুর পুরুষাঙ্গের সামনের অংশ কেটে ফেলে দেওয়া হয়। পরে রোগীর স্বজনেরা পুরুষাঙ্গের কাটা অংশসহ তাকে হাসপাতালে নিয়ে আসে। এখানে পুরুষাঙ্গের কাটা অংশ ফ্রিজআপ করে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সার্জারি বিভাগে পাঠানো হয়েছে।’